জুলাই 7, 2024
Latest:
ক্রীড়া

হেরে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে দলের ফুটবল খুশি করেছে স্টিফেনকে

স্পোর্টস ডেস্ক, এনএফবিঃ

বুধবার আইএসএলে ঘরের মাঠে যুবভারতীতে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ২-১ ব্যবধানে হার মানতে হলেও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি ইস্টবেঙ্গলের ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্টান্টাইন।

বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে তাঁর দল যা খেলেছে, সেই খেলাই ধরে রাখতে চান বলে ম্যাচের পরে জানালেন তিনি। তার কথায়, প্রথমার্ধে গোয়া আমাদের চেয়ে ভাল খেলেছে। বল দখলে ওরা এগিয়ে ছিল। আমরাও নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আমরাই দাপটের সঙ্গে খেলেছি। জানি না ওদের গোলকিপার কী করে মাঠে ছিল। (বিপক্ষের) খেলোয়াড়দের আক্রমণ করাটা লাল-কার্ড দেখার মতো অপরাধ। সেটা হলে আমরা বাড়তি সুবিধা পেতাম এই ম্যাচে। আমাদের দুটো ম্যাচেই এমন অনেক সিদ্ধান্ত আমাদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে, যেগুলো আসলে তা ছিল না। সমগ্র দ্বিতীয়ার্ধে আধিপত্য বিস্তার করার পরে যে ভাবে আমরা একেবারে শেষ মিনিটে গোল খেলাম, তা সত্যিই হতাশাজনক। তবে এই ম্যাচ থেকেই অনেকে ইঙ্গিত পেয়েছেন, ভবিষ্যতে আমরা কী রকম হয়ে উঠতে চলেছি।
এই রকমই খেলতে চাই। তবে এই খেলাটা ৯০ মিনিট খেলতে হবে।’

এরপরেই লাল হলুদ কোচ যোগ করেন, প্রতি ম্যাচেই আমরা কিছু না কিছু শিখি। আজ আমাদের কয়েকজন খেলোয়াড়কে দেখলাম, যারা প্রথম ম্যাচে খেলেনি। তারা ভাল খেলেছে। দলের মধ্যে জায়গা পাকা করার একটা প্রতিদ্বন্দিতা রয়েছেই। এটা অবশ্যই ভাল ব্যাপার। ৯৪তম মিনিটে গোল খেয়ে হারাটা যদিও ভাল নয়। তবে আমরা প্রক্রিয়া মেনেই নিজেদের শোধরানোর চেষ্টা করব। কোথায় ভুল হয়েছে এবং কোথায় ঠিক হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। সমর্থকদের জানাই, ছেলেরা যথাসাধ্য দিয়েছে। আজকের দ্বিতীয়ার্ধে যে ইস্টবেঙ্গলকে দেখলেন, সে ভাবেই ইস্টবেঙ্গল খেলে যেতে চায়। গতিময়, আগ্রাসী ফুটবল। তাতে কে কী বলল, কিছু যায় আসে না। ২-৩টে ম্যাচে সব কিছু করা যায় না। সময় দরকার।

ফুটবল বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ফরওয়ার্ড সুমিত পাসিকে নিচের থেকে খেলানো আর ডিফেন্স সমস্যা এই দুটো বিষয় লাল হলুদের প্রধান সমস্যা। যদিও স্টিফেন জানাচ্ছেন, যদি আজকের ম্যাচটার কথা বলা যায় তাহলে বলবো প্রথম গোলটার ক্ষেত্রে ওদের মুভটা খুবই ভাল ছিল সেটা অস্বীকার করার জায়গাই নেই। আর দ্বিতীয় গোলটা যে ভাবে ড্রপ করে গোলের কোন দিয়ে ঢুকে গেল, তা অসাধারণ। দশবারের মধ্যে ন’বারই এ রকম বল ক্লিয়ার হয়ে যায়। তাই ডিফেন্স সমস্যা এই বিষয় আমি মানি না।

আর পাসি গত তিন বছর ধরে রাইট ব্যাক হিসেবে খেলছে। এখন ও আর ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলে না। আমাদের সেন্টার ফরোয়ার্ড ছিল না। এখন সেই ভূমিকা কাউকে পালন করতে হবে। সুমিতকে আগে মাঝমাঠেও খেলিয়েছি। আজ ও নিজের জায়গাতেই খেলেছে এবং ভালই খেলেছে। এলিয়ান্দ্রো এদিন প্রথম একাদশে ছিলেন না মাঠের বাইরে বসেই ম্যাচ উপভোগ করেন ব্রাজিলিয়ান স্টাইকার। তার কারণ এলিয়ান্দ্রোর হালকা চোট ছিল তবে পরের নর্থ ইস্ট ম্যাচের আগে এলিয়ান্দ্রো সেরে উঠবেন আশাবাদী লাল হলুদের হেড স্যার।

ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ আগামী ২০ অক্টোবর গুয়াহাটিতে প্রতিপক্ষ নর্থ ইস্ট।