সুরজিতের শরীরের অবনতি

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

গত কয়েকদিনে উন্নতির কিছুটা লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল। কিন্ত সোমবার ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হল সুরজিৎ সেনগুপ্তের। তার শ্বাসকষ্ট আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে । পাশাপাশি বুকের এক্সরে রিপোর্টে করোনো সংক্রমণ ফের আসার ইঙ্গিত। ফের জ্বর এসেছে প্রাক্তন ফুটবলারের । সোমবার বাইপাসের ধারে হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এদিন সকাল থেকেই সুরজিতের অবস্থার অবনতি হয়েছে। শরীরে রক্তচাপের মাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে। মূত্র নিঃসরণও স্বাভাবিক নিয়মে হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরেই ভেন্টিলেশনে রয়েছেন সুরজিৎ । ভেন্টিলেশনের সাহায্যে তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩ থেকে ৯৫ শতাংশের মধ্যে থাকছে। ভেসোপ্রেসার সাপোর্টের মাধ্যমে তাঁর শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন এখনও ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তবে ফের সুরজিতের জ্বর আসায় সকলেই চিন্তিত। বুকের এক্সরে-তে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে । যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর সুরজিতকে ভালো করার তাঁদের পক্ষ থেকে সবরকম ভাবেই চেষ্টা করা হচ্ছে। চিন্তায় তার পরিবার। চিন্তা ফুটবলপ্রেমীদেরও।

আরও পড়ুনঃ রামিজের ভারত-পাক ক্রিকেট প্রস্তাব কার্যত উড়িয়ে দিলেন জয় শাহ
প্রবল কাশি নিয়ে গত ২৩ জানুয়ারি একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় প্রাক্তন ফুটবলারকে। সুরজিতের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বৈঠক করে একটি মেডিকেল টিম তৈরী করা হয়। ক্রীড়ামন্ত্রীর বৈঠকে তিন প্রাধানের কর্তারা ছাড়াও ছিলেন আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় । সুরজিতের স্বাস্থ্যর নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় । ২৯ জানুয়ারি থেকে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন সুরজিৎ। প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল খেলোয়ারদের তরফ থেকে ঠিক করা হয়েছে সুরজিতের চিকিৎসার আর্থিকভাবে সবরকম সাহায্য করার। কয়েকদিনে দেখা যাচ্ছিল অক্সিজেন মাত্রা ৯২ থেকে ৯৫ শতাংশের মধ্যে থাকছে। নিজের সময়ে দেশের অন্যতম সেরা উইঙ্গার ছিলেন। খেলেছেন দুই প্রধানেই। কলকাতা ময়দানে সুরজিৎ সেনগুপ্তকে পরিচিতি দেয় মোহনবাগান। ১৯৭৩-এ প্ৰথমবার সই করেন মোহনবাগানে। এর পরে অবশ্য ইস্টবেঙ্গলে চলে যান। ১৯৭৫-এ ঐতিহাসিক শিল্ড ফাইনালের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল ৫-০ গোলে জেতে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। ইতিহাসের মিথ হয়ে যাওয়া সেই ম্যাচে প্ৰথম গোল করেছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। কোনোদিনও ফুটবল ছাড়া কোনোরকম বিতর্কতে জড়াননি। ময়দানের ফুটবল নিয়ে চৰ্চা করতেন। পরিসংখ্যানবিদ না হয়েও কলকাতা ময়দানের উইকিপিডিয়া (Wikipedia) ছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। কোনোদিন কোচিং না করালেও সব নিয়ম ছিল তার মুখস্থ।