এনএফবি, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
খোশমেজাজে বনভোজন, মাছধরা, একসঙ্গে বসে পাত পেড়ে খাওয়া এবং কর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক আলোচনা,মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের দেখা মিলল এক অন্য মুডে। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার বড়কলা গ্রামে কর্মীদের আয়োজনে বনভোজনে উপস্থিত থাকলেন দিলীপ ঘোষ।
সামনেই রয়েছে নির্বাচন,কর্মীদের মনোবল বাড়াতে তাই রিতীমতো তৈরী খড়্গপুরের সাংসদ। নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন “যে ভোটার সে ভোট দিতে পারছেন না। বাইকের লোক এসে ভোট দিয়ে দিচ্ছে। দু বছর তিন বছর ধরে মিউনিসিপ্যালিটি বা করপোরেশনের ভোট হচ্ছে না, ফেলে রাখা হচ্ছে।মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বিরোধীদেরকে কোনো সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়না এখানে। বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি এমএলএ, এমপিদের উন্নয়নের টাকায় কাজ করতে দেওয়া হয়না। আটকে রাখা হয়। কি করে বলবো এখানে গণতন্ত্র ঠিক আছে।” রাজ্যে নির্বাচন হয় হিংসার আশ্রয় নিয়ে, এমনই অভিযোগ তোলেন প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
পাশাপাশি রাজ্যপাল – স্পিকারের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল যখন স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তখন স্পিকার বিধানসভা ছেড়ে চলে যান। কোন তথ্য রাজ্যপালকে দেন না। এটাও প্রশাসনিক ভাবে স্পিকারের শোভা দেয়না।”