জুলাই 5, 2024
Latest:
ক্রীড়া

বাংলার ক্রিকেটারদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব দিন্দা

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএল থেকে বিদায় নিতেই বিস্ফোরণ বাংলার প্রাক্তন পেসার অশোক দিন্দার।
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন নৈছনপুর এক্সপ্রেস। সেখানে কেকেআরের জার্সিতে নিজের একটি ছবি দেন। একইসঙ্গে লিখেছেন, “বিদায় কেকেআর ২০২২। পরবর্তী ২০২৩ মরশুমের জন্য শুভেচ্ছা রইল। আশা করি, বাংলার বেশ কিছু ক্রিকেটারকে পরের মরশুমে দেখতে পাব।”
এরসঙ্গে ২০০৯ আইপিএল নাইট জার্সি তে খেলা নিজের বল করার ছবি দেন তিনি ২০০৮ থেকে ২০১০ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নাইট শিবিরে ছিলেন এরপর পুনে ওয়ারিরস ইন্ডিয়া, দিল্লী ডেয়ারডেভিলস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জর্স বেঙ্গালোরে খেলেন তিনি।
কলকাতা নাইট রাইডার্স আজ পর্যন্ত মাত্র দুবার শিরোপা পেয়েছে। গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে যথাক্রমে ২০১২ এবং ২০১৪ সালে। এছাড়া গত মরশুমে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ফাইনাল হেরে রানার্স। নাইট শিবিরে বাঙালি ক্রিকেটারদের বঞ্চনার প্রতিবাদে নানা সময়ে নানা ক্রিকেটাররা সরব হয়েছেন।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে লখনউর বিরুদ্ধে পরাস্ত হয়ে আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্স। তারপরও মন খারাপ করছেন না নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। বরং ২১১ রান তাঁরা করতে নেমে যেভাবে দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা উজার করে দিয়েছেন তাতে গর্ববোধ করছেন তিনি। পাশাপাশি জানান যে, এটা তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা ম্যাচ। ম্যাচের শেষে শ্রেয়স বলেন, “আমি একেবারেই দুঃখিত নই। কারণ, সত্যি কথা বলতে আমার জীবনের এটা অন্যতম সেরা ম্যাচ। আমাদের পারফরম্যান্সের উত্থান-পতন হয়েছে। কিন্তু এই ম্যাচে আমরা যেভাবে নিজেদের চারিত্রিক দৃঢ়তা, মানসিকতা তুলে ধরেছি, সেটা সত্যিই দুর্দান্ত।”
বুধবার নবি মুম্বইয়ে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে বিনা উইকেট হারিয়ে ২১০ রান তোলে লখনউ। বিধ্বংসী ১৪০ রানের ইনিংস খেলেন কুইন্টন ড’কক। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কলকাতা। সেখান থেকে ম্যাচের হাল ধরেন নীতিশ রানা (২২ বলে ৪২ রান), শ্রেয়স (২৯ বলে ৫০ রান) এবং স্যাম বিলিংস (২৪ বলে ৩৬ রান)। কিন্তু তাঁরা কেউই শেষপর্যন্ত থাকতে পারেননি। এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ আন্দ্রে রাসেল। ৫ রানে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। সেই পরিস্থিতি থেকে কলকাতার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার লড়াই চালাচ্ছিলেন রিঙ্কু সিং এবং সুনীল নারাইন (৭ বলে অপরাজিত ২১ রান)। মাত্র ১৫ বলে ৪০ রান করে জয়ের জন্য ২ বলে ৩ রান বাকি থাকা অবস্থায় আউট হয়ে যান রিঙ্কু। শেষ বলে আউট হয়ে সব আশা শেষ করে দেন উমেশ যাদব। তাতে কিছুটা হতাশ হলেও রিঙ্কুর ভূয়সী প্রশংসা করেন নাইট অধিনায়ক।
রিঙ্কু প্রসঙ্গে শ্রেয়স বলেন, “রিঙ্কু যেভাবে শেষপর্যন্ত আমাদের টেনে নিয়ে এসেছিল, সেটা দারুণ লেগেছে। যখন দু’বল বাকি ছিল, তখন দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেনি। ও অত্যন্ত ভেঙে পড়েছে। আমরা আশা করছিলাম যে ও ম্যাচটা শেষ করে আসবে। ও নায়ক হয়ে যেতে পারত। তা সত্ত্বেও ও দুর্দান্ত খেলেছে। আমি ওর জন্য সত্যিই খুশি।”