এনএফবি, মুর্শিদাবাদঃ
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা ডাকছে পঞ্চায়েত মেম্বাররা। পঞ্চায়েত প্রধানও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী, আবার পঞ্চায়েত সদস্যরাও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ঢাকতে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বারবার সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে আবার দলীয় বৈঠকে বলেছে দল কোনোভাবেই পঞ্চায়েতে অনাস্থা মেনে নেবে না।
দলের নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই এইবার মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লকের সাহোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মানসী বাগদির বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকে পঞ্চায়েতের ১৭ জন সদস্য। তাদের অভিযোগ, বর্তমান প্রধানের জন্য উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর উন্নয়নের উদ্দেশ্যেই তারা দলের বিরুদ্ধে গিয়ে অনাস্থা ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে তারা অনাস্থা পত্র জমা করে। আজ সেই অনাস্থার তলবি সভা ডাকা হয় পঞ্চায়েত ভবনেই। আজ এই সভায় বিক্ষুব্ধ ১৭ জন পঞ্চায়েত সদস্য ছাড়াও পঞ্চায়েত প্রধান মানসী বাগদিও উপস্থিত ছিলেন। অনাস্থা না হওয়ার কোনো কারণ প্রধান না দেখাতে পারায় আজ পঞ্চায়েত প্রধান মানসী বাগদির বিরুদ্ধে অনাস্থা সম্মতকরণ নেওয়া হয় ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এবং ওই পঞ্চায়েতের নতুন প্রধান খুব তাড়াতাড়ি গঠিত করা হবে বলে জানা যায় ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
অপরদিকে আজকের এই তলবি সভাকে কেন্দ্র করে পুলিশের পক্ষ থেকে কড়াকড়ি নজরদারি চালানো হয় সাহোরা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই পঞ্চায়েত ভবনের চারপাশে ১০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত অশান্তি এড়াতে আদালতের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। আর সেই উদ্দেশ্যেই মঙ্গলবার সকাল থেকেই পঞ্চায়েত ভবনের বাইরে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কোনোভাবেই যেন আদালতের নির্দেশানুসারে ১৪৪ ধারার অবমাননা না হয় সে উদ্দেশ্যে বড়ঞা থানার পক্ষ থেকে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।