জুলাই 3, 2024
Latest:
জেলা

শিক্ষকের অভাবে পড়াশোনা শিকেয় কুমারগঞ্জের বিদ্যালয়ে

এনএফবি, বালুরঘাটঃ

শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে ধুঁকছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের তুলট উচ্চ বিদ্যালয় ।এলাকায় বিদ্যালয়ের সুনাম দীর্ঘ দিন থেকেই রয়েছে। কিন্তু আছে স্কুল, আছে পড়ুয়া, আছে স্কুল ভবন, কিন্তু অভাব শুধু শিক্ষকের। তাই স্কুলের সুনাম বজায় রাখায় এখন সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে ৷

জানা গেছে, তুলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ানো হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে অপর্যাপ্ত শিক্ষক, স্থায়ী শিক্ষক না থাকার অভাবে ভুগছে এই স্কুল। অথচ এই স্কুলের ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৬০০ জন। স্থায়ী শিক্ষক আছেন মাত্র ২ জন। সাথে রয়েছে ২ জন কম্পিউটার শিক্ষক। জোড়াতালি দিয়ে পঞ্চম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস নেওয়ার শিক্ষকের অভাবে ছাত্র ছাত্রীদের পঠন পাঠন লাটে উঠেছে। সব চেয়ে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে আগামী বছর যে সব ছাত্র ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে তাদের।

কৃষ্ণজ্যোতি সরকার, শিক্ষক ৷ নিজস্ব চিত্র

এমনিতেই কোভিড অতিমারির কারণে বিগত দুই বছর স্কুলের পঠন পাঠন বন্ধ ছিল। যদিও অতিমারি সংকট কাটিয়ে বিদ্যালয়ের ঘন্টা বাজার শব্দ ছড়িয়ে পড়েছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে । কিন্তু শিক্ষক – শিক্ষিকার অভাবে সে শব্দ ছাপিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের পঠন পাঠনের শব্দ আর শুনতে পাওয়া যাচ্ছে না তুলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতে।
দীর্ঘ দিন ধরে এই সব প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পঠন পাঠন চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।

আছে স্কুল, আছে পড়ুয়া, আছে স্কুল ভবন, কিন্তু অভাব শুধু শিক্ষকের যার ফলে, চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে স্কুলের পাঠদান। ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর চিন্তায় স্কুল পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা। অবিলম্বে স্কুলের সব শ্রেণীতে পঠনপাঠন চালুর দাবিতে এলাকার নাগরিকরাও সরব হয়েছে।

প্রবীর রায়, কর্মাধ্যক্ষ ৷ নিজস্ব চিত্র

যদিও বিদ্যালয়ের শিক্ষক কৃষণ জোতি সরকার শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে পঠন পাঠন ভীষণ ভাবে ব্যাহত হওয়ার বিষয় টি স্বীকার করে বলেন তিনি নিজে সায়েন্স বিভাগের টিচার হয়েও বিদ্যালয়ের অফিসিয়াল কাজ কর্ম করে থাকেন। যে সব শিক্ষক ছিলেন তারা উষসী পোর্টালের মধ্যমে বদলি হয়ে চলে গেলে সরকারের উচ্চ আধিকারিকদের কাছে সে তথ্য থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ কয়েকমাস শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন ব্যহত হচ্ছে। এর ফলে ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষায় আগামী বছর বসতে যাওয়া ছাত্র ছাত্রীরা বলে তিনি নিজেই স্বীকার করে নেন।

পড়ুয়া ৷ নিজস্ব চিত্র

অপরদিকে বিদ্যালয়ের, নবম ও দশম শ্রেণীর পড়ুয়ারাও এক কথা জানিয়ে বলেছে অবিলম্বে তাদের স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা পাঠিয়ে তাদের পঠন পাঠন চালু করা হোক।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রবীর রায় জানান,ওই স্কুলে যাতে অতি শীঘ্রই শিক্ষক নিয়োগ করা হয় তা শিক্ষক পরিদর্শকের সাথে যোগাযোগ করে উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ করার ব্যবস্থা করা হবে।

বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন জানান,বর্তমানে সারা বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ করছেন না রাজ্যসরকার, গোটা বাংলায় একই অবস্থা বাংলার প্রতিটি স্কুলের। যতদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া রাজ্য সরকার শুরু না করছেন ততদিন এই সমস্যা মিটবে না ৷