জুলাই 5, 2024
Latest:
ক্রীড়া

ইস্টবেঙ্গল সবসময় হৃদয়ে থাকবে, সুনীলের থেকে শৃঙ্খলা শিখতে চান হীরা

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

ইস্টবেঙ্গলে আর নেই হীরা মন্ডল। অনেক অপেক্ষা করে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি থেকে ভালো প্রস্তাব পেয়ে সেখানেই সই করলেন হীরা তবে ইস্টবেঙ্গল সবসময় হৃদয়ে থাকবে আর বেঙ্গালুরু এফসিতে ভারতীয় দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর থেকে শৃঙ্খলা শিখতে চান বৈদ্যবাটীর হীরা।
এদিন এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন,”ইস্টবেঙ্গল আমার হৃদয়েই থাকবে। গত মরশুমে গ্যালারিতে থাকতে না পেরেও যে ভাবে আমাকে সবাই সমর্থন করেছে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যে ভাবে আমাকে প্রেরণা জুগিয়েছে, তা অনবদ্য। যে কোনও ফুটবলারের পক্ষে সমর্থকদের ভালবাসা ও সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ভালবাসা কখনও ভুলতে পারব না। গত মরশুমে দলের সিনিয়ররা খুব সাহায্য করেছিলেন। যেমন অরিন্দমদা (ভট্টাচার্য), রাজুভাই (গায়কোয়াড়), বলওয়ন্তভাই (সিং), বিকাশদা (জায়রু), এরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। যা যা ভুল করছিলাম, সেগুলো ওরা আমাকে ধরিয়ে দেয়। কোচও ভাল খেলার সঠিক রাস্তা দেখিয়েছিলেন আমাকে। কোচ, সিনিয়রদের সাহায্য নিয়েই উন্নতি করেছি।”
এরপরে তিনি জানালেন, “যে কোনও ভারতীয় ফুটবলারেরই স্বপ্ন সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে মাঠে নামা। আমারও ছিল। ওঁর সঙ্গে একই ড্রেসিং রুমে থাকতে পারাটা আমার কাছে পরম সৌভাগ্যের। উনি এতদিন ধরে খেলছেন, এত অভিজ্ঞতা ওঁর, এত গোল করেছেন। অনেক কিছু শেখার আছে ছেত্রীভাইয়ের কাছ থেকে। ওঁর সঙ্গে কবে অনুশীলন শুরু করব, সেই অপেক্ষায় রয়েছি। খুবই খুশি আমি এবং উত্তেজিতও। নিজেকে উন্নত করে তোলার জন্য ওঁর সাহায্য আমার দরকার। মাঠের বাইরেও উনি যথেষ্ট শৃঙ্খলাপরায়ণ। খাওয়া থেকে শুরু করে মাঠের বাইরের সব কাজেই নিখুঁত নিয়ম মেনে চলেন। এগুলো আমাকে শিখতে হবে। আমি সৌভাগ্যবান যে সেই সুযোগ এখানে আমি পেতে চলেছি।”
বাংলার প্রবীর দাসও আছে বেঙ্গালুরুতে। সেই বিষয়ে হীরা জানালেন,”আমরা যেহেতু দুজনেই বাংলার ফুটবলার, তাই আমরা একে অপরকে খুব ভাল চিনি ও জানি। অনেক দিন ধরে যথেষ্ট উঁচু স্তরের ফুটবল খেলছে প্রবীরদা। তাই ওঁরও অনেক অভিজ্ঞতা আছে। একে অপরকে ভাল ভাবে জানি বলেই আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া, আশা করি, ভাল হবে।”
গত বছর এসসি ইস্টবেঙ্গলের ব্যর্থতার মাঝেও উজ্জ্বল ছিলেন হীরা। এরপরেই তাকে বিভিন্ন দল নিতে আগ্রহী হয়।