জুলাই 8, 2024
Latest:
স্থানীয়

মাথাভাঙ্গায় অভিনব মৎস্য সংগ্রহশালা

এনএফবি, কোচবিহারঃ

১৫৬ প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ করে সংগ্রহশালা তৈরির মাধ্যমে নজর কেড়েছেন মৎস্যপ্রেমী লক্ষীকান্ত বর্মন। নদী-পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা উত্তরবঙ্গের আরও একটি বিশেষত্ব হল মাছের প্রাচুর্য। উত্তরবঙ্গের মাছ এর প্রজাতি প্রচুর। এই মাছগুলি বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়। নতুন প্রজন্ম উত্তরবঙ্গের মাছ সম্পর্কে যাতে ধারণা রাখতে পারে সেই কারণেই নদী এবং পুকুরের প্রায় ১৫৬ টি প্রজাতির মাছ সংগ্রহ করে এক আজব সংগ্রহশালা তৈরি করেছেন মৎস্য প্রেমী ব্যক্তি লক্ষীকান্ত বর্মন।

কোচবিহার মাথাভাঙ্গা মহাকুমার গোপালপুর এলাকায় নিজের বাসভবনে তৈরি করেছেন এই আজব সংগ্রহশালা। ছোট ছোট কাঁচের বয়ামে সংগ্রহ করে রাখা আছে মাছগুলি। তিস্তার বরেলি থেকে শুরু করে তোর্সা নদীর শোল মাছ পর্যন্ত রয়েছে তার সংগ্রহে। লক্ষীকান্ত বাবু জানান প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, এবং ফরাক্কা বাজার থেকে বিভিন্ন সময়ে মাছগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে। কিছু মাছ বর্ষার সময়ে ওঠে আবার কিছু মাছ পাওয়া যায় শীতে। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসমস্ত ছাত্রছাত্রীরা মাছ বিষয়ক গবেষণা করছে তারা প্রতিবছর একাধিকবার আসেন তার বাড়িতে। মাছ সম্পর্কে ধারণা সংগ্রহ করতে। অন্যদিকে পুকুরে বোরোলি মাছ চাষ করে সেই মাছ বাজারজাত করেছিলেন প্রথমবার লক্ষী বাবু।

তার দেখাদেখি অনেকেই পুকুরে বোরোলি মাছ চাষ করার চেষ্টা করেছে। এই সংগ্রহশালার কারণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং তার হাতে তুলে দিয়েছেন কৃষি সম্মান। ছাত্রছাত্রীদের কাছে তিনি মাছ বিশেষজ্ঞ আর তার পরিবারের কাছে বিশেষ করে তার নাতি-নাতনিদের কাছে তিনি মাছ পাগল দাদু বলে পরিচিত।