অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
সবাইকে অবাক করে দিয়ে ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মারা যান ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো মারাদোনা। এবার মারাদোনাকে শ্রদ্ধা জানাতে আগামী কাতার বিশ্বকাপে অভিনব উদ্যোগ।
একটি বিমানে একটি উড়ন্ত যাদুঘর হিসাবে ডিজাইন করা মহান ফুটবলার মারাদোনাকে উৎসর্গ করে আর্জেন্টিনায় উন্মোচন করা হয়েছে। যা কাতার বিশ্বকাপের জন্য উড়তে চলেছে। যার যাত্রা আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হবে৷ ১২ সিটের বিমানের নাম দেওয়া হয়েছে Tango D10S ।
আর্জেন্টিনার ফিনটেক কোম্পানির সাহায্যে তৈরী হয়েছে। বিমানটিতে ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে মারাদোনার বিশ্বকাপ ট্রফিকে চুম্বনের ছবি দেখানো হয়েছে। এছাড়া সেই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার বিখ্যাত ২-১ গোলের জয়ে তার দুটি গোলই রয়েছে। ‘হ্যান্ড অফ গড’ গোলটি আর শতাব্দীর সেরা গোলও আছে ।
ফিনটেক কোম্পানি গিভ অ্যান্ড গেটের সিইও গ্যাস্টন কোলকার বলেছেন, “আমি ম্যারাদোনার জন্য পাগল, আমি সেই লোকদের মধ্যে একজন যারা এখনও রাতে ঘুমানোর আগে দিয়েগোর ভিডিও দেখেন। এটি সম্ভবত (লিওনেল) মেসির সাথে শেষ। আমি বলেছিলাম, আমি দিয়েগোর প্লেন বানাতে চাই, আমি দিয়েগোর প্লেন বানাতে চাই। এবং তাই আমরা Tango D10S চালু করেছি ।জানা গেছে ভবিষ্যতে বিমানটি দাতব্য চিকিৎসার জন্য ব্যবহার হবে তবে তার আগে ব্যক্তিগত কাজের জন্য ব্যবহার হবে। মারাদোনার মেয়ে ডালমা জানান, আমি এই পাগলামো আর ভালোবাসা বিশ্বাস করতে পারি না। অনুরাগীরা কতদূর যাবে। যতদূর প্লেন!
হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মাত্র ৬০ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে গিয়েছেন বিশ্বের ফুটবল রাজপুত্র। তাঁর মৃত্যুর পরেই শুরু হয়ে গিয়েছে এই নিয়ে বিতর্ক। মারাদোনার ডাক্তার যেমন দাবি করেছিলেন, ফুটবলারের ঠিকমতো খেয়াল রাখা হয়নি। পাল্টা দাবি করা হয়েছে যে, মারাদোনার অসুস্থতার ব্যাপারে সঠিক তথ্য দেননি তাঁর ডাক্তাররা। এক কথায়, প্রত্যেকেই দায় এড়াতে চেয়েছেন। সঠিক তথ্যপ্রমাণের অভাবে আদালতও তদন্ত এগোতে পারেনি। নিজেদের মতো করে তদন্ত চালানোর চেষ্টা করেছিল আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমও। সেই কাজ অবশ্য এখনও চালিয়ে যাচ্ছে তারা। বেশিরভাগেরই দাবি, ড্রাগের প্রতি আসক্তি, অত্যধিক মদ্যপান এবং শরীরের উপর অত্যাচারই মারাদোনার মৃত্যুর জন্য দায়ী। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর সেই হৃদরোগই থামিয়ে দিল মারাদোনার হৃদস্পন্দন। থেমে গেল বিশ্ব ফুটবলের একটা অধ্যায়।