জুলাই 5, 2024
Latest:
ক্রীড়া

ব্যালন ডিও জিতলেন ফ্রান্সের বেঞ্জেমা

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

ব্যালন ডিও পুরস্কার জিতলেন ফ্রান্সের তথা রিয়াল মাদ্রিদের গোলমেশিন করিম বেঞ্জেমা। পুরুষদের ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে ফাইনাল ফোর-এ ছিলেন করিম বেঞ্জেমা, রবার্ট লেওয়ানডস্কি, সাদিও মানে, কেভিন ডি ব্রুইন। কিন্তু সবাইকে টপকে পুরস্কার পেলেন বেঞ্জেমা। পুরস্কার তুলে দিলেন ফ্রান্সের আর এক বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান। পঞ্চম ফরাসি ফুটবলার হিসেবে এই পুরস্কার জিতলে বেঞ্জেমা। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের তারকা স্ট্রাইকার জিনেদিন জিদানের পর এই প্রথম কোনও ফ্রান্সের ফুটবলার ব্যালন ডি’অর জিতলেন। দীর্ঘ দুই যুগ অর্থাৎ ২৪ বছর পর অপেক্ষার পালা ফুরাল ফরাসীদের।

এত দিন ব্যালন ডি’অর দেওয়া হত জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের পারফরম্যান্সের বিচারে। তবে এখন নিয়মে বদল এনেছে ফ্রান্স ম্যাগাজিন। আর এখন এই পুরস্কার দেওয়া হয় একটি গোটা মরসুমের পারফরম্যান্সের বিচারে। আর তার নিরিখে তৈরি করা হয় সংক্ষিপ্ত ৩০ জনের নাম। ২০০৫ সালের পর এই প্রথম ৩০ জনের তালিকায় জায়গা হয়নি সর্বোচ্চ সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী লিওনেল মেসির। জায়গা হয়নি মেসির ক্লাব সতীর্থ নেইমারেরও।

২০২১-২২ মরসুমে রিয়াল তারকা বেঞ্জেমা ৪৬ ম্যাচে করেছেন ৪৪টি গোল। যার মধ্যে রয়েছে ২টি হ্যাটট্রিক সহ ১৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গোল। নকআউট পর্বে পিএসজির বিপক্ষে ১৭ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর কোয়ার্টার-ফাইনালেও রিয়ালের জয়ের নায়ক ছিলেন বেঞ্জেমা। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের প্রথম লেগে বেঞ্জেমার হ্যাটট্রিকেই বিধ্বস্ত হয়েছিল চেলসি। ৩-১ গোলে ব্লুজদের হারিয়েছিল রিয়াল। ফিরতি লেগেও আরও এক গোল করেছিলেন ফরাসি তারকা।

এখানেই থামেননি, ম্যানচেস্টার সিটির জালও কাঁপিয়েছেন তিনি। এমন নজরকাড়া পারফরম্যান্সের সুবাদে গত অগাস্টে উয়েফার সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতিও পান বেঞ্জেমা।

অন্যদিকে মহিলাদের ব্যালন ডি’অর জিতলেন অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস। স্পেন জাতীয় দল তথা বার্সেলোনার এই ফুটবলারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আন্দ্রে শেভচেঙ্কো। টানা দ্বিতীয়বার এই পুরস্কার জিতলেন অ্যালেক্সিয়া। একইসঙ্গে দেশ এবং ক্লাবের হয়ে এক মরসুমে সর্বাধিক গোলদাতার জন্য গত বছর থেকে গার্ড মুলার ট্রফি দেওয়া শুরু করেছে ব্যালন ডি’অর কর্তৃপক্ষ। এবারও এই পুরস্কার জিতলেন পোল্যান্ড তথা বার্সেলোনা তারকা রবার্ট লেওয়ানডস্কি। গত মরসুমে ৫৭ গোল করেন লেওয়ানডস্কি। বর্ষসেরা উঠতি খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেন গাবি। টানা দ্বিতীয়বার এই পুরস্কার বার্সেলোনার কোনও ফুটবলারের। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন ব্রাজিলের প্রাক্তন তারকা ফুটবলার রোনাল্ডো। একইসঙ্গে সামাজিক, আর্থিক দিক মোকাবিলা করে যারা ফুটবল খেলেন সেই পুরস্কার সক্রেটিস ট্রফি দেওয়া এবার থেকে শুরু হয়। আর সক্রেটিসের ভাই তথা পিএসজির প্রাক্তন মিডফিল্ডার রাই এই পুরস্কার তুলে দেন সেনেগালের সাদিও মানের হাতে। সাদিও মানে শুধু দারিদ্রতাকে জয়ে করে ফুটবলার হয়ে থেমে থাকেননি দেশের জন্য অনেক সামাজিক কাজও করেছেন। এদিনের অনুষ্ঠানে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। সবমিলিয়ে এদিনের ব্যালন অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে পূর্ণতা পেলো সেটা বলাই যায়।