এএফসিতে ভালো পারফরমেন্স করার ব্যাপারে আশাবাদী হুগো, কাউকোরা

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের খেলা শুরু হতে আর তিন দিন বাকি। সেমিফাইনালিস্ট এটিকে মোহনবাগানের সামনে গত বছরের মতো এবারও গ্রুপ পর্বে অপেক্ষাকৃত সহজ পরীক্ষা অপেক্ষা করে আছে। সেই কারণেই ঘরের মাঠে এই পর্বে সফল হওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী দলের দুই বিদেশি তারকা হুগো বুমৌস ও জনি কাউকো। তাঁদের সতীর্থরাও আশাবাদী। তবে প্রতিপক্ষদের কম গুরুত্ব দেওয়ার ভুল করতে নারাজ তাঁরা।
গত মাসে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টার এফসি ও বাংলাদেশের ঢাকা আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে এটিকে মোহনবাগান এএফসি কাপের মূলপর্বে ‘ডি’ গ্রুপে জায়গা করে নেয়। তার আগে থেকেই গোকুলাম কেরালা এফসি, বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস ও মলদ্বীপের মাজিয়া এসআরসি এই গ্রুপে জায়গা করে নেয়। গ্রুপ পর্বের এই ম্যাচগুলি ১৮ মে থেকে হবে কলকাতায়। এই পর্বে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলার পরে গ্রুপের এক নম্বর দল ইন্টার জোন প্লে অফ সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। গত বারও এই স্তর পর্যন্ত উঠেছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু সফল হতে পারেনি। এ বার তাই এই গণ্ডী পেরনোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে নামছে হুয়ান ফেরান্দোর দল।
এই চ্যালেঞ্জে নামার আগে ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে সাফল্য পাওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী সবুজ-মেরুন শিবিরের দুই বিদেশি তারকা হুগো বুমৌস ও জনি কাউকো। শুক্রবার অনুশীলনের পরে বুমৌস বলেন, “এই গ্রুপে পরফরম্যান্সের ভিত্তিতে আমরাই সেরা দল। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে আমরাই এক নম্বরে থাকব। এ বার প্রস্তুতি গতবারের তুলনায় ভাল হয়েছে। প্রাথমিক পর্বে দুটি ম্যাচে আমরা আট গোল করেছি। ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলে কোনও অজুহাতই গ্রহণযোগ্য হবে না”।
গ্রুপের প্রতিপক্ষদের নিয়ে ফরাসি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বলেন, “যে তিন দলের বিরুদ্ধে খেলতে হবে, তাদের খেলার ভিডিও দেখেছি। সবচেয়ে শক্তিশালী বসুন্ধরা কিংস, যথেষ্ট ভারসাম্য রয়েছে এই দলে। এর পরে রাখব গোকুলম এফসি-কে। আই লিগে গতবারের মতো এ বারও দারুণ খেলেছে। আমাদের দলের যা শক্তি, তাতে তিন দলকেই আমরা হারাতে পারি”।
অন্যদিকে, গত বছর ফিনল্যান্ডের হয়ে উয়েফা ইউরো কাপে খেলে এটিকে মোহনবাগানে যোগ দেওয়া কার্যকরী মিডফিল্ডার জনি কাউকো আবার প্রতিপক্ষকে নিয়ে বেশি ভাবতেই নারাজ। তিনি বলেন, “ইউরো কাপে খেলার আগে কখনও প্রতিপক্ষকে নিয়ে ভাবিনি। বিপক্ষের খেলাও দেখিনি। এএফসি কাপেও প্রতিপক্ষের কোনও ম্যাচ দেখিনি। প্রতিপক্ষকে বেশি দেখলে বাড়তি মানসিক চাপ তৈরি হয় বলেই আমার মনে হয়। যার প্রভাব নিজের স্বাভাবিক ছন্দের ওপরেও পড়ে। এমনিতেই ম্যাচের তিন দিন আগে থেকে কোচ প্রতিপক্ষকে নিয়ে বিশ্লেষণ করবেন, তখন বুঝে নেব”।
নিজেদের দলের শক্তি নিয়ে কাউকো বলেন, “আমরা খেলার মধ্যেই আছি। প্রাথমিক পর্বে দু’টি জয় পেয়েছি। প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতীয় দলকেও হারিয়েছি। পুরো দল ছন্দে রয়েছে। এত দিনে আবহাওয়ার সঙ্গেও মানিয়ে নিয়েছি। কোচ আমাকে একটু ডিফেন্সিভ মিডিও হিসেবে খেলাচ্ছেন। সেখান থেকেও গোল করেছি। তবে গোলটা বড় কথা নয়। প্রধান লক্ষ্য, জয়”।