এনএফবি, কলকাতাঃ
ঐতিহ্যের রক্ষক হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত, ভারতের সংস্থা, ইন্ডিয়ান হোটেল কোম্পানির (আইএইচসিএল)-এর ইতিহাস, ভারতের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির সঙ্গে শক্ত বুননে আবদ্ধ। আইএইচসিএল-এর অন্যতম ফোকাস ক্ষেত্র হল ভারতের অবর্ণনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচার করা। এই উদ্দেশ্য নিয়ে, আইএইচসিএল তাজ বেঙ্গল, পুজোয় কলকাতা সহ বিভিন্ন আইএইচসিএল হোটেলে ভ্রমণকারীদের জন্য অভিজ্ঞতামূলক ট্যুর করার জন্য ইউনেস্কোর সাথে সহযোগিতা করেছে।
ইউনেস্কোর ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি’-এর তালিকাভুক্ত দুর্গাপূজায় তাজ বেঙ্গল-এর অতিথিরা উৎসবের অংশ হিসাবে সমস্ত আড়ম্বর ও জাঁকজমক সহকারে ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারবেন। বিশেষভাবে সাজানো যাত্রাপথগুলি অভ্যন্তরীণ অতিথিদের উত্তর কলকাতার একটি বনেদি বাড়ি, যেখানে ১৭৫৭ সাল থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হচ্ছে সেখানে নিয়ে যাবে এবং ১৮-১৯ শতকের বাংলার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি পরিবারগুলির ঐতিহ্যশালী বাড়িগুলি পরিদর্শন করার সুযোগ দেয়। অতিথিরা তাজ বেঙ্গলের সোনারগাঁওয়ে একটি খাঁটি বাংলা থালিরও রসাস্বাদন করতে পারবেন এবং শহর জুড়ে প্যান্ডেল ঘুরতে যেতে পারবেন এবং সূর্যাস্তের সময় ঐতিহ্যবাহী ধুনুচি নাচের সাথে সন্ধ্যা আরতি উপভোগ করতে পারবেন।
ইউনেস্কোর সঙ্গে আইএইচসিএল -এর সহযোগিতায় অতিথিরা পটচিত্রের দেখার অভিজ্ঞতাও লাভ করবে- কলকাতার কাছাকাছি শিল্পীদের এক অনন্য গ্রাম পিংলা, হস্তনির্মিত কাগজের স্ক্রলে আঁকার একটি প্রাচীন লোক ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। অতিথিরা জানতে পারবেন কীভাবে কাগজের ক্যানভাস এবং রঞ্জক রঙ ব্যবহার করে, গল্প এবং গানের মাধ্যমে বর্ণনা ফুটিয়ে তোলা হয়, কারিগররা নিজেরাই তা তৈরি করে। অতিথিরা গ্রামের দেয়ালে চিত্রিত পৌরাণিক কাহিনী, লোককাহিনী এবং বর্তমান ঘটনাগুলির নিদর্শন দেখতে পারবেন এবং স্মারক হিসাবে কিছু অনন্য শিল্পকর্মও সংগ্রহ করতে পারবেন।
ইউনেস্কোর সহযোগিতায় এই অনন্য অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে, তাজ বেঙ্গল, কলকাতার হোটেল ম্যানেজার শ্রী অর্ণব চ্যাটার্জি বলেছেন, “আনন্দের শহর তার সংস্কৃতি, সাহিত্য, রন্ধনপ্রণালী, শিল্পকলা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে দুর্গা পুজোর প্রতি নিরবচ্ছিন্ন আবেগের জন্য বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত। আইএইচসিএলের উদ্যোগের অংশ হিসাবে ইউনেস্কোর সহযোগিতায় এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পরম্পরা এবং আদিবাসী কারুশিল্প সংরক্ষণ ও ধরে রাখতে এবং অতিথিদের আমাদের শতাব্দী প্রাচীন সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পর্কে অভিজ্ঞতার সুযোগ দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।”