জুলাই 5, 2024
Latest:
ক্রীড়া

আইএসএলের পঁচিশ জনকে সংবর্ধনা দিল আইএফএ

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

না আগে কেউ ভাবেনি যে এমনটা করা যায়। কিন্তু তিনি ভাবলেন না, যোগ্যকে তাঁদের প্রাপ্য সম্মানও দিলেন। বৃহস্পতিবার মধ্য কলকাতার পাঁচতারা হোটেলে আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের অভিনব উদ্যোগ এবার ভারতের এক নম্বর ফুটবল টুর্নামেন্ট আইএসএলে নামা পঁচিশ জনকে সংবর্ধনা দিল বাংলা ফুটবলের নিয়মক সংস্থা।

ফিফা রেফারি ও আইএসএলে রেফারি করতে নামা প্রাঞ্জল বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন ছিলেন তেমনই ছিলেন এটিকে মোহনবাগান দলের সহকারী কোচ বাস্তব রায়। এবারের আইএসএলে ডার্বির নায়ক কিয়ান নিশারি। ইস্টবেঙ্গলের নজরকারা পারফরমেন্স করা হীরা মন্ডল, অরিন্দম ভট্টাচাৰ্য, প্রীতম কোটাল, প্রণয় হালদার, প্রবীর দাস। এছাড়া লিগ শিল্ড জয়ী জামশেদপুর এফসির ঋত্বিক দাস। এবার আইএসএল জয়ী দলের একমাত্র বাঙালি ফুটবলার শৌভিক চক্রবর্তীকে পুরস্কার দেওয়া হলো।

এসসি ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচাৰ্য জানান, “গত আট বছর ধরে আইএসএলে আছি কখনও কেউ এমন উদ্যোগ নেয়নি। এমন পুরস্কার ভবিষ্যতে ভালো পারফরমেন্স করতে প্রেরণা জোগায়।” তিনি আবার ডার্বিতে তার ত্রিকাঠিতে বল ঢুকিয়ে যে হ্যাটট্রিক করেন সেই জামশেদ নাসিরির ছেলে কিয়ানকে জড়িয়ে ধরে নিজের তরফ থেকে আলাদা পুরস্কার দিয়ে বলেন, “এটা ওর জন্য একটা শুভসূচনা হলো। কেরিয়ারের শুরুতে এমন সম্মান সত্যিই আলাদা অনুভূতি দেয়।ও আরও এগিয়ে যাক।”

কিয়ান জানান, “বাবার মুখে শুনেছিলাম কলকাতার ফুটবল উন্মাদনার কথা। আজ দেখলাম ভালো লাগল খুব।”এবারের বাংলার উদীয়মান তারকা হীরা মন্ডল জানান, “প্রথমে আমার মাকে নারী দিবসে পুরস্কার দিলো আইএফএ এবার আমাকে সম্মান দিলো আমি গর্বিত।” এদিন বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলে গেলেন, “আইএফএ জয়দীপ মুখার্জির অধীনে ভালো কাজ করছে দেখে আমি খুব আনন্দ পাচ্ছি। জেলায় জেলায় ফুটবল ছড়িয়ে পড়েছে। সরকার সবসময় পাশে রয়েছে।” মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী জানাচ্ছেন, “ইস্টবেঙ্গল – মোহনবাগান ছাড়া বাংলার ফুটবল এগিয়ে যাওয়া কখনও সম্ভব নয়। দুই বছর করোনার জন্য ডার্বি ম্যাচ হয়নি কলকাতায়। আশা করছি বাংলা আবার ডার্বি ম্যাচ দেখতে পারবে।” সবশেষে আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন,”বাংলার ফুটবল এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের এক নম্বর টুর্নামেন্টে এতজনের অংশ নেওয়া সেটা প্রমান করছে। বাকি রইল ভারতীয় দলে বাংলার আরও বেশি ফুটবলারের সুযোগ পাওয়া, সেটাও খুব তাড়াতাড়ি হবে।”