জুলাই 1, 2024
Latest:
জেলালেটেস্ট

অন্ধকারে প্রশাসন, বহরমপুরে পার্ক পুণঃনির্মাণে উধাও গাছ

এনএফবি, মুর্শিদাবাদঃ

পুরসভা নির্বাচনের পর নব নির্বাচিত পুর বোর্ডের উদ্যোগে শহর বহরমপুর জুড়ে সৌন্দার্যায়নের কাজ চলছে। এবার সেই কাজ ঘিরে উঠল প্রশ্ন। গোরাবাজার জর্জকোট সংলগ্ন এনসিসি মাঠের পাশে অবস্থিত পুরসভার পার্কের নবনির্মাণের সময়ে দু’টি বড় গাছ এবং বেশ কিছু ছোট ছোট গাছ কেটে ফেলায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় ত্রিকোণ পার্ক নামে পরিচিত এই পার্কের চারিপাশে দেবদারু গাছ দিয়ে ঘেরা ছিল। আর পার্কের ভিতরে ছিল একটি বড় কদম গাছ এবং নিম গাছ। এলাকার মানুষরা জানিয়েছেন কদম গাছটির আনুমানিক বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছর অপরদিকে নিম গাছটির বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর। পার্কটির নব নির্মাণের সময় অন্যান্য গাছের সঙ্গে এই দুটি গাছও কেটে ফেলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী গাছ কাটতে গেলে বন দফতরের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এইক্ষেত্রে সেই রকম কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি। গাছ কাটার বিষয়ে ওয়াকিবহাল নন পুরপিতাও।

কাজ শুরুর সময়ে।নিজস্ব চিত্র

বন দফতরের অধিকারিক অমিতাভ পাল এনএফবি-কে জানিয়েছেন, তাঁর কাছে গাছ কাটার জন্য কেউ কোনও অনুমতি নেয়নি। অপরদিকে বহরমপুর পুরসভার পুরপ্রধান নাড়ু গোপাল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুরসভার কাজ চললেও গাছ কাটার বিষয়টি পুর কর্তৃপক্ষ ওয়াকিবহাল নয়। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পুরসভার পক্ষ থেকে যে সৌন্দার্য্যায়নের কাজ চলছে সেখানে নতুন করে বৃক্ষরোপণের কর্মসূচিও পালন করছে পুরসভা।

বর্তমান চিত্র। নিজস্ব চিত্র

অপরদিকে এই বৃক্ষচ্ছেদনের প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর হীরু হালদার বলেন,” শহরের সৌন্দার্যায়ন হচ্ছে ভালো কথা তবে পুর কর্তৃপক্ষের উচিৎ ছিল গাছগুলিকে না কেটে সেগুলিকে রক্ষা করে সৌন্দার্যায়ন ঘটানো।” সিপিআই(এম)-এর জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা জানান,”পরিবেশ রক্ষার্থে যখন পরিবেশপ্রেমীরা লড়াই করছেন, তখন একশ্রেণীর মানুষ নিজেদের স্বার্থে গাছ কেটে ব্যবহার করছে। উন্নয়নের নামে প্রকৃতিকে ধ্বংশ করা হচ্ছে। নগরসভ্যতার উন্নয়ন হোক প্রকৃতিকে রক্ষা করে।” রাজনৈতিক প্রতিবাদের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের জলাভূমি রক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শুক্লা মন্ডল জানান, “এধরনের কাজ ভীষণ গর্হিত।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, এমনিতেই গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত প্রায় এই অবস্থায় পার্কের ছায়াটাও আজ চুরি হয়ে গেল।