এনএফবি, নিউজ ডেস্কঃ
আজ থেকে শুরু হওয়া সংসদের বাজেট অধিবেশনে আর্থিক সমীক্ষা পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। আর্থিক সমীক্ষার পাশাপাশি রয়েছে পরিসংখ্যানগত পরিশিষ্ট। আগামীকাল মঙ্গলবার সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের সাধারণ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে আজ সোমবার পেশ হওয়া আর্থিক সমীক্ষায় মহামারি পরবর্তীকালে ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে সরকারের তরফ থেকে তাতেই সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া নয়া আর্থিক বছরে ভারতের ৮ শতাংশ থেকে ৮.৫ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির হার(GDP)-এর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যা চলতি আর্থিক বছরের ৯.২ শতাংশ বৃদ্ধির থেকে কম। কেন্দ্রের উদ্বেগ বাড়িয়ে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছিল ৭.৩ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে জিডিপি ১১ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমান করা হয়েছিল।
আর্থিক সমীক্ষাকে দেশের অর্থনীতির রিপোর্ট কার্ড হিসাবে ধরা হয়। শিল্প ,কৃষি কোন ক্ষেত্রে কী পরিবর্তন এসেছে, কত আয় হয়েছে, কত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা গিয়েছে, উৎপাদনই বা কত বেড়েছে, আমদানি-রফতানি কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিশদ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। তার নিরিখে আগামী দিনে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে, তারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। আর তারমধ্যেই থাকে জিডিপি বৃদ্ধির পরিসংখ্যান।
আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে মোট খরচ ৭ শতাংশ বেড়েছে। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যয়বৃদ্ধি ঘটছে সরকারি ব্যয়। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কৃষি ও অনান্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ৩.৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি ঘটতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। পরিষেবা ক্ষেত্রে চলতি অর্থবর্ষে ৮.২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে।
সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় সমস্ত সূচকেই দেখা গিয়েছে যে, চলতি অর্থবর্ষে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব প্রথম ত্রৈমাসিকে ২০২০-২১ পূর্ণ লকডাউন পর্বের তুলনায় স্বল্প ছিল। সবাস্থ্যক্ষেত্রে দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব গুরুতর হলেও তা আর্থিক কাজকর্মকে ততটা প্রভাবিত করতে পারেনি।