প্রাকবর্ষায় ভেসে গেছে বাঁশের সাঁকো, নৌকাই ভরসা গ্রামবাসীর

এনএফবি, আলিপুরদুয়ারঃ

কথায় আছে, ‘নদীর পারে বাস, চিন্তা বারোমাস’। আর এই চিন্তা নিয়েই দিন কাটে মুজনাই নদী তীরবর্তী এলাকাবাসীর ৷

আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের দেওগাঁও এবং জটেশ্বর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকাকে আড়াআড়ি ভাগ করেছে মুজনাই নদী। বর্ষা এলেই জলের তোড়ে ভেসে যায় নদী পারাপারের অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো। এই বছর বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই বৃষ্টির জলে ভেসে গেছে ফালাকাটা ব্লকের গঙ্গামণ্ডল ঘাটের মুজনাই নদীর ওপর থাকা বাঁশের সাঁকো। বর্ষা শুরু না হতেই বাঁশের সাঁকো ভেসে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন নদীর ধারে থাকা কয়েক হাজার মানুষ। তারপরই নিরুপায় হয়ে গ্রামবাসীদের নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই নৌকো। বিকল্প কোনও ব্যবস্থা না থাকায় বিপজ্জনকভাবে ওই নৌকো চেপেই মুজনাই নদী পার হতে বাধ্য হচ্ছেন দুই প্রান্তের মানুষ। ওই নৌকোতে করেই স্থানীয় বাসিন্দারা মালপত্র, সাইকেল, বাইক ইত্যাদি নিয়ে পারাপার করছেন।

আনন্দ সরকার, স্থানীয় বাসিন্দা

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, “আগে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করতাম। সেটি ভেঙে যাওযায় বাধ্য হয়ে শিশু সহ এলাকার লোকজন নৌকা করে পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছেন। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশাসনের এব্যাপারে কোনও হুঁশ নেই।” জানা গিয়েছে, অসংখ্য সাধারণ মানুষ প্রতিদিন জীবন জীবিকার তাগিদে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই কোন রকম যাত্রী সুরক্ষা ছাড়াই ওই নৌকো করে পারাপার করেন এখানে। যে কোনও মুহূর্তেই দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকছে বলে আশঙ্কা অনেকেরই।