অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
জাতীয় সিনিয়র টিমের কোচের দায়িত্ব পেলেন জয়দীপ কর্মকার। অলিম্পিয়ান এই শুটারের কাছে এই দায়িত্ব কিছুটা যেমন অপ্রত্যাশিত তেমনি রীতিমতো চ্যালেঞ্জের।
২০২৫ সাল পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে জাতীয় রাইফেল সংস্থার চুক্তির কথাবার্তা হয়েছে। সবঠিক থাকলে ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে বাংলার এই শুটারের দায়িত্বে থাকবে জাতীয় দল।
এমন একটা সময়ে তিনি দায়িত্ব নিচ্ছেন, যখন টোকিও অলিম্পিকে ডাহা ফেল করেছে ভারতীয় শুটাররা। আশা করা হয়েছিল চার মেডেল নিয়ে দেশে ফিরবেন ভারতীয় শুটাররা, সেখানে আসেনি একটাও পদক।বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, বিশ্বকাপ সহ একাধিক টুর্নামেন্টে ভারতীয় শুটাররা যখন একের পর এক পদক নিয়ে দেশে ফেরেন, সেখানে কেন ব্যর্থ অলিম্পিকে? প্রশ্নটা সর্বস্তরে। সেখানে উঠেছে স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন। অলিম্পিকের পর ২৪ জন জাতীয় কোচকে বরখাস্ত করা হয়েছে স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্নে।তালিকায় যশপাল রানার মতো কোচও রয়েছে।
জয়দীপের কাছে জাতীয় টিমের দায়িত্ব কিছুটা অপ্রত্যাশিত। বললেন, ‘এই দায়িত্ব যে আমাকে দেওয়া হবে, সত্যি ভাবতে পারিনি। জাতীয় সংস্থার প্রেসিডেন্টের অনুরোধে এই দায়িত্ব নিয়েছি। সবঠিক থাকলে অলিম্পিকের দায়িত্বে থাকব আমি। কিন্তু হাতে সময় মাত্র দু’বছর।বরাবরই চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি।ফলে এই চ্যালেঞ্জ আমি নিচ্ছি।’
২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে ৫০মিটার প্রোণে চতুর্থ হয়েছিলেন জয়দীপ। অল্পের জন্য পদক মিস করার আফসোস বোধহয় এ বার মেটানোর সময় এসেছে কোচ হিসেবে।
পরপর আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। সেখান থেকে নিজের কোচিং জীবনে দ্বিতীয় ইংনিস শুরু করবেন।২০১৫ সাল থেকে নিজের অ্যাকাডেমি কোচিংয়ে যাত্রা শুরু করেন। একাধিক জাতীয় স্তরের শুটার তিনি তৈরি করেছেন নিজের নামাঙ্কিত অ্যাকাডেমিতে। অন্যতম নাম মেহুলি ঘোষ।কিন্তু প্র্যাক্টিসের সুবিধের জন্য তিনি হায়দ্রাবাদে গগন নারাংয়ের শুটিং অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন। সেই মেহুলি আবার রয়েছেন জাতীয় শিবিরে। ফলে স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন উঠছে না এখনই। কিন্তু জয়দীপের কথায়, ‘আমি দেশের দায়িত্ব যখন নিয়েছি, তখন ব্যক্তি নয়, সবাই আমার কাছে সমান।বর্তমানে যারা জাতীয় শিবিরে রয়েছে, প্রত্যেকের পারফরম্যান্স আমি জানি। অনেকের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো। ফলে কাজ করতে অসুবিধে হবে না’।
জাতীয় টিমের কোচ হওয়ার পর সরকারিভাবে শুটার জীবনে অবসান ঘটল জয়দীপের। ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় টিমের হয়ে খেলেছেন। ২০১৫ সালেও খেলেছেন। পাশাপাশি শুরু করেছিলেন নিজের জয়দীপ কর্মকার অ্যাকাডেমি। ফলে কোচিং জীবনের মাত্র সাত বছরের মধ্যে জাতীয় টিমের কোচের জন্য ডাক পেলেন জয়দীপ।