জুলাই 3, 2024
Latest:
ক্রীড়া

মোহনবাগান মাঠে এলেন জুয়ান

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

মোহনবাগান মাঠ ঘুরে দেখলেন এটিকে মোহনবাগান দলের স্প্যানিশ কোচ জুয়ান ফেরান্দো। এদিন ক্লাবের জিম ও মাঠ সমর্থকদের সঙ্গে তুললেন ছবিও। গত দুই বছর করোনার জন্য গোয়াতে আইএসএল (isl) হয়। ফলে মোহনবাগান মাঠের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না সবুজ মেরুন শিবিরের। কিন্তু এটিকে মোহনবাগান দল এখন AFC কাপ খেলতে কলকাতায় হাজির, সেই সুযোগেই গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে এলেন জুয়ান।

আগামী মঙ্গলবার ১২ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারের মুখোমুখি টিম জুয়ান তাঁদের হারাতে পারলে ১৯ এপ্রিল ATK মোহনবাগানকে খেলতে হবে দক্ষিণ এশীয় প্লে অফে। সেই ম্যাচে তাদের মুখোমুখি হতে পারে বাংলাদেশের আবাহনী লিমিটেড।

ব্লু স্টার ও নেপালের মাচিন্দ্রার মধ্যে ম্যাচের ভিডিও খুঁটিয়ে দেখেছেন সবুজ-মেরুন কোচ। সেই ম্যাচে ২-১-এ জেতে ব্লু স্টার। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ২৮ মিনিটের মধ্যে দু’গোলে এগিয়ে যায় ব্লু স্টার। ম্যাচের একেবারে শেষে স্টপেজ টাইমে একটি গোল শোধ করে মাচিন্দ্রা। ব্লু স্টারের আব্দুল ইহসান ও স্নেহাল সন্দেশ গোল করেন। মাচিন্দ্রার স্কোরার ছিলেন সুজল শ্রেষ্ঠা।

মাঠ পরিদর্শন

ফেরান্দোর প্রতিক্রিয়া, “ওদের খাটো করে দেখার কোনও কারণ নেই। দলটার পাসিং খুব ভাল। মাঝে মধ্যে প্রেসিং ফুটবল খেলে। কিছুক্ষণ ধীরগতির ফুটবল খেলতে খেলতে হঠাৎই আক্রমণে ওঠে। আর তাতেই বিপক্ষের গোলের মুখ খুলে যায়। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, খেলাটা ৯০ মিনিটের। এই সময়ের মধ্যেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। গত ম্যাচে শেষ দশ মিনিট অবশ্য ব্লু স্টার তেমন ভাল খেলেনি। তাতে অনেকেই হয়তো ভাবছেন ওরা তেমন ভাল দল নয়। আমি তা মানতে রাজি নই। দু’গোল হয়ে যাওয়ার পর সম্ভবত পরের ম্যাচের কথা ভেবে ওরা নিজেদের উজাড় করে দিতে চায়নি”।
শ্রীলঙ্কার দলের লং বল খেলার প্রবণতা নিয়ে ফেরান্দো বলেন, “বিপক্ষের রক্ষণের মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠানোর একটা চেষ্টা ওরা সব সময়ই করে। ওদের সেন্টার ব্যাক চামারার খেলা অনেকটা আমাদের কার্ল ম্যাকহিউয়ের মতো। রক্ষণেও যেমন ভাল, তেমন সঠিক পাস বাড়ানোতেও দক্ষ। মনে রাখতে হবে, একটা দেশের সেরা ক্লাব খেলেতে আসছে। তাদের সমীহ করতেই হবে। আমরা সে ভাবেই প্রস্তুতি নিয়েই নামব”।
ISL ৮-এর মাঝপথে কলকাতার দলে যোগ দেওয়া ফেরান্দো বলেছেন, “এই ম্যাচে গ্যালারিতে আমাদের সমর্থকেরা থাকবেন। তাদের সমর্থন আমাদের খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করবে। কথা দিচ্ছি, ওদের নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হবে না। আমাদের দলের খেলা দেখে ফুটবলের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন”।