জুলাই 5, 2024
Latest:
ক্রীড়া

কিয়ানকে নম্বর নাইন হিসেবে খেলাতে চেয়েছিলেন জুয়ান

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

একটা সময় মজিদ বাসকারের সঙ্গে কলকাতা ময়দান কাঁপিয়েছিলেন ইরানের জামশিদ নাসিরি। মজিদ দেশে ফিরে গেলেও জামশিদ কলকাতায় থেকে গিয়েছেন। জড়িয়ে আছেন ফুটবল কোচিংয়ের সঙ্গে। তাঁর কোচিংয়েই নিঃশব্দে তৈরি করেছেন নিজের পুত্র কিয়ান নাসিরিকে। ২০১৯ সালে মোহনবাগানের জুনিয়র দলে কিয়ানের সুযোগ পাওয়া নিয়ে একটা সময় ময়দানে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। কিন্তু ধাপে ধাপে নিঃশব্দে বাগানের সিনিয়র দল এবং এটিকে মোহনবাগানেও ঢুকে পড়েছিলেন কিয়ান। আইএসএলের ফিরতি ডার্বি ম্যাচে নেমে হ্যাটট্রিক করে এটিকে মোহনবাগানকে জয় এনে দিলেন জামশিদ পুত্র কিয়ান। ইস্টবেঙ্গলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়লেন বাগানের ফুটবলাররা, আর কিয়ানকে নামিয়ে ম্যাজিক দেখানো এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। কিয়ানকে অনুশীলনে দেখে, তাঁর পরিশ্রম করার প্রবণতায় মুগ্ধ হয়ে তাঁকে ডার্বিতে নামার সুযোগ দেন আইএসএল’র অন্যতম কনিষ্ঠ কোচ। তরুণ ফরোয়ার্ড সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারায় খুবই খুশি কোচ। ডার্বি জিতে সবুজ মেরুন কোচ জানান,”কিয়ানের জন্য আমি খুশি। ও অনুশীলনে খুবই পরিশ্রম করে, উন্নতিও করেছে অনেক। ম্যাচটা যখন বেশ কঠিন জায়গায় চলে যাচ্ছিল, তখন আমরা সিস্টেম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিই। কিয়ানকে নাম্বার নাইনের মতো ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। ও যে সফল হয়েছে, সে জন্য আমি খুবই খুশি। ওর মতো তরুণ খেলোয়াড় সফল হওয়ায় আমি খুশি হয়েছি।”

জীবনের প্রথম বড় ম্যাচে জয় পেয়ে সেটা সমর্থকদের উৎসর্গ করছেন স্প্যানিশ কোচ। তাঁর কথায়,”গত কয়েকদিন ধরে আমাদের সমর্থকেরা প্রচুর মেসেজ পাঠিয়েছেন। যাতে আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা জিতি। ওদের আবেগ, অনুভূতি আমি বুঝি। ওদের জন্যও আমি খুশি। তারাও এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পাওয়ার জন্য নিশ্চয়ই খুব খুশি।“ডেভিড উইলিয়ামসের পেনাল্টি মিস ও দলের ডিফেন্স নিয়ে তরুণ এই কোচ জানান,”এই সময়ে ডেভিডের পাশে সবার দাঁড়ানো উচিত। পেনাল্টি মিস করলেও ও আমাদের প্রচুর সাহায্য করেছে। গোলের সুযোগ তৈরি করা থেকে বিপক্ষকে চাপে রাখা—সবই করেছে ও। হায়দ্রাবাদ, ওডিশার বিরুদ্ধেও খুব ভাল খেলেছে ও। পেনাল্টি থেকে সবাই গোল করতে চায়। ভুল হয়ে গিয়েছে। তবে আমরা ওর পাশে আছি। মনবীর বলুন বা লিস্টন, দলের স্বার্থে তাদের যা করা দরকার, সেটা করতে হবে। আমরা যে স্টাইলে খেলি, তাতে আমাদের বল পায়ে রাখতে হবে, জায়গা তৈরি করে আক্রমণে উঠতে হবে। তার পরে দ্রুত নেমে এসে ফের ডিফেন্স করতে হবে। এই ব্যাপারগুলো দলের সবাই ধাপে ধাপে বুঝে নিতে পারলে দল ভাল খেলবে। তবে আমার কাছে ওদের তরতাজা থাকাটা খুবই জরুরি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আজ আমাদের খেলোয়াড়রা প্রথমার্ধে তা ছিল না। সব ক্লাবের ক্ষেত্রেই এমন হচ্ছে। সব সময় ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে, শুধু অনুশীলনে যাওয়া ছাড়া আর কোথাও যেতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করাটা খুব কঠিন।” এবারে তাঁদের টার্গেট কি! জুয়ান এই প্রশ্ন তে বললেন,”নিশ্চয়ই আমাদের ক্লাবের মালিক খুব খুশি হয়েছেন। আমার কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাদের সামনে এখনও ন’টা ম্যাচ রয়েছে। মুম্বই, হায়দ্রাবাদের মতো দলের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। এই ম্যাচগুলোর জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জনের দিক থেকে এই জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”