জুলাই 3, 2024
Latest:
ক্রীড়া

শেষ সুযোগ জুয়ানের

স্পোর্টস ডেস্ক, এনএফবিঃ

গত মরসুমে আন্টেনিও লোপেজ হাবাসের জায়গায় মাঝপথে এটিকে মোহনবাগানের কোচ হয়ে স্বপ্ন দেখান। অনেকেই মনে করেছিলেন নতুন মরসুমে প্রথম থেকে জুয়ান ফেরান্দোর তত্ত্বাবধানে থাকলে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাবে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। ক্লাব ম্যানেজমেন্টও তাই ভেবে জুয়ানের মনের মতো খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গড়ে দেয়। কিন্তু নতুন মরসুমের শুরুটা একেবারেই ভাল করতে পারলেন না জুয়ান।

১৩১তম ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার পর এএফসি কাপের ইন্টারজোনাল সেমিফাইনাল ম্যাচে কুয়ালালামপুর সিটি এফসির বিরুদ্ধেও জিততে পারেনি মোহনবাগান। এরপরই প্রশ্ন উঠে যায় জুয়ানের ডিফেন্স নির্ভর ফুটবল নিয়ে। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগের প্রেক্ষিতে টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত বলেই জানান। তবে তাঁর উত্তরে খুব একটা খুশি নয় বাগান ম্যানেজমেন্ট। তাই এক নতুন উদ্যোগের আভাস পাওয়া গিয়েছে। যদিও গত মরসুমের দ্বিতীয় লিগের ডার্বি ম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে কিয়ান নাসিরিকে নামিয়ে ম্যাচ জেতাটাও ছিল জুয়ানের ‘টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত’। কুয়ালালামপুর সিটি এফসির বিরুদ্ধে দলের ফরোয়ার্ড লাইনে মনবীর সিংকে নামানোটাও ছিল টেকনিক্যাল সিদ্ধান্তের অংশ।

সূত্র মারফত জানান গিয়েছে যে, মুম্বই সিটি এফসির কোচ ডেস বাকিংহাম কে নিয়োগ করতে আগ্রহী বাগান ম্যানেজমেন্ট। মরসুমের শুরুটা ভাল না হওয়ার দরুন স্প্যানিশ কোচের পারফরম্যান্স নিয়ে সমর্থক থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্ট, সবাই অসন্তুষ্ট। এই অসন্তুষ্টির থেকেই হেড কোচ বদল কিংবা জুয়ানের ওপর আস্থা রেখেই আসন্ন আইএসএলে প্রথম দিকে দল ভালো ফল না করলে জুয়ানের চাকরি যাওয়া একেবারে নিশ্চিত। বিশেষ করে রয় কৃষ্ণকে জুয়ানের ছেড়ে দেওয়া মেনে নিতে পারছেন না অনেকে। যদিও জুয়ানকে এএফসি কাপ ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে দলের হারের পরে ম্যাচের শেষে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, একেবারেই না। হেরে গেলে অনেকের না থাকার কথা মনে হয়। কিন্তু যারা দলে নেই, তাদের কথা ভাবার কোনও মানে হয় না। দলে যারা আছে, তাদের নিয়ে ভাবাই ভাল। আজ হেরে অনেকে মানসিক ভাবে ধাক্কা খেয়েছে, আমার মতো অনেকে হতাশ হয়েছে। কিন্তু এখন আমাদের কাল থেকেই ফের কাজ শুরু করতে হবে।

এবার আইএসএল সূচীতে যদি চোখ বোলানো যায়, তা হলে দেখা যাচ্ছে প্রথম ডার্বির আগে তারা শেষ ম্যাচ খেলবে ১৬ অক্টোবরে। অর্থাৎ, সেই ম্যাচের পরে ডার্বির জন্য ১২ দিন সময় পাবে তারা। দ্বিতীয় লিগের আগে সবুজ-মেরুন বাহিনী শেষ ম্যাচ খেলবে ১৮ তারিখ, মানে এক সপ্তাহ আগে। তাই দুই দলই দুই ডার্বির আগে জমিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ও সুযোগ পাবে। যার জেরে ডার্বিতে লড়াইও নিশ্চয়ই উঠবে চরমে।

বাংলার কোচ বিশ্বজিৎ – NF Bangla Private Limited (newsfrontbangla.com)

গত দুই মরশুমে কলকাতার দুই ক্লাব-সহ একাধিক ক্লাবের কোচই প্রস্তুতির সময়ের অভাবের অভিযোগ করেছিলেন। গত দু’বারেই কোভিড আবহে খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে লিগ চালাতে হয়েছিল এফএসডিএল-কে। জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে তার মধ্যে সংশ্লিষ্ট সমস্ত ব্যক্তিদের রেখে আইএসএল আয়োজন করতে হয়েছিল বলে সময়ও বেশি পাওয়া যায়নি।

এ বার আর সেরকম সমস্যা থাকবে না বলেই এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে। তাই এবার অনেকটা সময় হাতে নিয়ে লিগ করা যাচ্ছে। অক্টোবরের প্রথম দিক থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত-প্রায় পাঁচ মাস ধরে হচ্ছে এ বারের আইএসএল যাতে হবে ১১৭টি ম্যাচ। এগারো দলের টুর্নামেন্টে লিগ পর্বে প্রতি দল কুড়িটি করে ম্যাচ খেলবে। নক আউট পর্বে আরও তিন থেকে পাঁচটি ম্যাচ।