জুলাই 5, 2024
Latest:
ফিচারবিনোদন

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব সৃজিত কমলেশ্বর

এনএফবি, কলকাতাঃ

হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে নির্যাতিতা মৃত নাবালিকা সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনি রেপ বলবেন, নাকি প্রেগনেন্ট বলবেন, না কি লাভ অ্যাফায়ার বলবেন… না কি শরীরটা খারাপ ছিল, নাকি কেউ ধরে মেরেছে? পুলিশকে বলেছিলেন গোটা বিষয়টা জানাতে। শুনেছি, ছেলেটির নাকি মেয়েটির সঙ্গে লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল। ইজ ইট আ ফ্যাক্ট?…” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুললেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।

সৃজিত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জানিয়েছেন, “হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে একেবারে আপত্তিকর, অসংবেদনশীল মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমি বাকরুদ্ধ ও হতবাক।”
অন্যদিকে টলিপাড়ার আরেক পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ও ফেসবুকে প্রতিবাদী পোস্ট লিখেছেন। বামপন্থী পরিচালকের প্রশ্ন- “আর কত কি মানবো? ১) আর্থিক বিপর্যয়- বেকারি, মূল্যবৃদ্ধি, রাজ্যের ওপর ঋণের বোঝা, বেতন বা মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার অক্ষমতা, অপাত্রে অনুদান, বৃহৎ লগ্নির অভাব। ২) সামাজিক বিপর্যয়- খুন, ধর্ষণ, ধর্ম-জাত নিয়ে তোষণ ও বিদ্বেষের রাজনীতি, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা, মহিলাদের অনিরাপত্তা। ৩) নৈতিক বিপর্যয়- দুর্নীতি, কাটমানি, সিন্ডিকেট, ঘুষ, স্বজনপোষণ, আত্মপ্রচার, নির্লজ্জ মিথ্যাচার, জনমাধ্যমের ওপর চাপ বা বিশিষ্টজনের নীরবতা আর কতদিন মানবো?”
আরেকটি পোস্টে মমতার হাঁসখালি-মন্তব্যকে পরোক্ষভাবে কটাক্ষ করেছেন কমলেশ্বর। সভ্য সমাজের একজন নাগরিক হিসেবে তাঁর প্রশ্ন, “হতেই পারে আপনি রাজ্যের শাসকদলের নেতা-নেত্রী বা কর্মী অথবা সমর্থক কিংবা শাসক আশ্রিত বিশিষ্টজন। তবু, ধর্ষিতা কোনও নাবালিকা বা সাবালিকা আপনারও মানবিকতার প্রার্থী। নীরব থেকে দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দেবেন না।আপনি তো দুষ্কৃতী নন। ধর্ষকের দায় আপনি কেন নেবেন?”