জুলাই 8, 2024
Latest:
ফিচারস্থানীয়

মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী থাকলো খেজুরি

এনএফবি,পূর্ব মেদিনীপুরঃ

বিজেপির কৃষাণ মোর্চার সভাপতি মানস কামিলার সঙ্গে দুই মহিলার বিয়ে দিলো গ্রামবাসী। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুরোহিতের মন্ত্র, উলুধ্বনি, বাজনা বাজিয়ে বাজি ফাটিয়ে, মিষ্টি বিতরণ করে ধুমধাম করে বিয়ে দেওয়া হলো। মানস কামিলার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি থানার বাঁশগড়া গ্রামে। মানস কামিলার সোনার দোকান আছে নিজের বাড়ি থেকে কিছু দূরে পাশের গ্রাম খেজুরির দেখালি বাজারে। প্রায় কুড়ি বৎসর ধরে সোনার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি।

গত ৩০ জুন রাত্রি বেলা মানস কামিলা এবং দুই মহিলা সহ তিন জনকে নগ্ন করে মারধোর করে চুল কেটে দেওয়া হয়। তারপরে দুই মহিলার সঙ্গে মানস কামিলার দেখালি বাজারে কালি মন্দিরে বাজনা বাজিয়ে পুরোহিত, নাপিত গ্রামবাসীদের সামনে বিয়ে দেওয়া হয়। পরে সকালে ভ্যান রিক্সায় সবাই কে চাপিয়ে বাজনা বাজিয়ে বাজি ফাটিয়ে মিষ্টি বিতরণ করে আম কাঁঠাল সহকারে গ্রামে ঘোরানো হয়। অভিযোগ তৃণমূলের বুথ সভাপতি নিখিল পয়রার নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত ব্যক্তি বিজেপির কৃষাণ মোর্চার সভাপতি মানস কামিলা। আক্রান্ত তিন জনকে উদ্ধার করে তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাল্টা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা নিখিল পয়রা কে বিজেপি লোকজন ব্যাপক মারধর করে। নিখিল পয়রাকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় কাঁথির দারুয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকা ছাড়া অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার সঙ্গীরা।

নিজস্ব চিত্র

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন দুই নির্যাতিতা মহিলা সহ মানস কামিলা। খেজুরি থানায় অভিযোগ করলেও থানা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই ওই তিন জন নির্যাতিতা কাঁথি কোর্টে অভিযোগ দায়ের করেছে। ওই এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আলাপন দাসের অভিযোগ এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনো ভাবেই জড়িত নয়। ওই সোনার দোকানের মালিক মানস কামিলা কে দুই মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় গ্রামবাসীরা ধরে ফেলে। তারপরে গ্রামবাসীরা দেখালি বাজারে কালি মন্দিরে বিয়ে দেয়। আলাপন দাসের আরও অভিযোগ ওই সোনা দোকানের মালিককে এর আগে অনেক বার সাবধান করেছিলেন গ্রামবাসীরা যে, কু কর্ম থেকে বিরত থাকতে কিন্তু মানস কামিলা তা শোনেনি। তাই গ্রামবাসীরা ওই দুই মহিলার সাথে শারীরিক সম্পর্ক চলাকালীন ধরে ফেলে। তার পরে গ্রামবাসীরা বিয়ে দেয়। ওই দুই বিবাহিতা মহিলা বর্তমানে দেখালি গ্রাম ছাড়া। দুই মহিলা বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। নির্যাতিতা দুই মহিলা আগে থেকেই বিবাহিতা, দুই মহিলার স্বামী বর্তমান। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যে ছড়িয়েছে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন উভয় পক্ষ।

পড়ুনঃ সরকারি স্কুলের ভেতরে থাকা গাছ কেটে নষ্ট করার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে – NF Bangla Private Limited (newsfrontbangla.com)