জুলাই 5, 2024
Latest:
জেলা

কোচবিহারে পৃথক রাজ্যের দাবিতে কেপিপির মহামিছিল

এনএফবি, কোচবিহারঃ

উত্তরবঙ্গের জেলা গুলোকে নিয়ে পৃথক কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবিতে কোচবিহারে মহামিছিল করল কামতাপুর পিপলস পার্টি(কেপিপি)।

আজ কেপিপির ডাকে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর কর্মী সমর্থক কোচবিহার রাসমেলার মাঠে এসে উপস্থিত হন। সেখান থেকে মিছিল শুরু করে গোটা কোচবিহার শহর পরিক্রমা করেন কেপিপি সমর্থকরা। এদিন এই মহামিছিলে নেতৃত্ব দেন কেপিপির কোচবিহার জেলা সভাপতি কংসরাজ বর্মণ। তিনি বলেন, “কোলকাতা যেভাবে উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত করে আসছে। যেভাবে দক্ষিণবঙ্গের সংস্কৃতিকে উত্তরবঙ্গের জনগোষ্ঠীর উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদে এবং পৃথক কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবিতে আমাদের এই আন্দোলন। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে এই আন্দোলন হয়ে আসছে। এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”
উত্তরবঙ্গে পৃথক রাজ্যের আন্দোলন নতুন কিছু নয়, একদিকে কেপিপি যেমন দীর্ঘদিন ধরে কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। তেমনি কেএলও জঙ্গি সংগঠনও একই দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি গ্রেটার কোচবিহারের দাবিতেও দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। তাঁদের দাবি অবশ্য ভারত ভুক্তি চুক্তি মেনে কোচবিহারকে গ শ্রেণীর রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার। কিন্তু গ্রেটার আন্দোলন এখন কার্যত দুভাগে বিভক্ত। একদিকে বংশীবদন বর্মণ ওই আন্দোলনের অন্যতম নেতা হয়েও বর্তমানে রাজ্য সরকারের সাথে যুক্ত হয়ে আছেন। অন্যদিকে মহারাজ অনন্ত রায়ের নেতৃত্বে একই ভাবে গ্রেটার কোচবিহারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু রাজ্যে প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে ওঠার পর বিজেপির উত্তরবঙ্গের বিধায়কদের একটা বড় অংশ বঞ্চনার অভিযোগ তুলে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তুলেছেন। আর তাতেই উত্তরবঙ্গে পৃথক রাজ্যের আন্দোলন আলাদা মাত্রা পেয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। উত্তরবঙ্গের পৃথক রাজ্যের দাবিদার মত, বিজেপি সব সময় ছোট রাজ্যের পক্ষে। তাই এখানকার বিজেপি বিধায়করা চাইলে তাঁদের দখলে কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরবঙ্গের পৃথক রাজ্যের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে পারেন। সম্প্রতি গ্রেটার অনন্ত মহারাজ তো একধাপ এগিয়ে বলেই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করার সিদ্ধান্ত নাকি এক রকম নিয়েই নিয়েছে। আর এসব জল্পনার মধ্যেই উত্তরবঙ্গ জুড়ে বাড়ছে আন্দোলনের তীব্রতা।