ওগবেচের হায়দ্রাবাদের কাছে হেরে ফাইনালের রাস্তা কঠিন করলো কৃষ্ণরা

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

ডুবলো পালতোলা নৌকা। গত ম্যাচে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে হারের পরে হায়দ্রাবাদ এফসির বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ এটিকে মোহনবাগান। আইএসএলে প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণের দলের কাছে ৩-১ গোলে হার সবুজ মেরুন ব্রিগেডের। গত ম্যাচে জামশেদপুর ম্যাচ থেকে প্রথম একাদশে দুুই বদল করে মাঠে নামছে এটিকে মোহনবাগান। কার্ল ম্যাকহিউ ও মনবীর সিংয়ের বদলে এই বড় ম্যাচে এটিকে মোহনবাগান দীপক টাংরি ও লেনি রডরিগেজকে মাঠে নামায়। প্রথম থেকেই আক্রমণ ছিল বাগানের ফুটবলে। সেই ফলও পাওয়া গেল। ম্যাচের ১৭ মিনিটে লিস্টনের দুরন্ত পাস থেকে গোল রয় কৃষ্ণের। এক গোলে পিছিয়ে পড়ে খোঁচা খাওয়া বাঘের মত জেগে ওঠে টিম হায়দ্রাবাদ। ২২ মিনিটে সুযোগ আসে গোলের । বাঁ-দিকে হায়দ্রাবাদের অনিকেত যাদবের বিরুদ্ধে ডিফেন্ড করতে গিয়ে তিনি যে স্ট্রাইকার, তা নিজের চ্যালেঞ্জেই প্রমাণ করে দিলেন কৃষ্ণ। একেবারে পেনাল্টি বক্সের একটু বাইরে বাজে ফাউল দিয়ে বসেন তিনি । তবে সেই সেটপিস কাজে লাগাতে পারেনি হায়দ্রাবাদ।এরপরে প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে ইয়াসিরের কর্ণার মোহনবাগান রক্ষণে বিশাল সমস্যা তৈরি করে। বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন প্রীতম কোটালরা, এমনকী হ্যান্ডবলেরও দাবি ওঠে । তবে শেষে হুয়ানানের ক্রস থেকে হেডারে হায়দ্রাবাদকে ম্যাচে ফেরালেন সেই ওগবেচে । এটি এই মরশুমে তাঁর ১৮তম গোল। এই গোল করে পরের মরশুমে নিজের দর আরও খানিকটা বাড়িয়ে নিলেন এই নাইজেরিয়ান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৫৪ মিনিটে – জোড়া বদল করে এটিকে মোহনবাগানে ম্যাকহিউ ও মনবীর সিংকে মাঠে নামানো হয় লেনি ও ডেভিড উইলিয়ামসের বদলে। আর এই বদল মোহনবাগানকে ধাক্কা দেয় ম্যাচের ৫৮ মিনিটে ইয়াসিরের গোলে এগিয়ে যায় হায়দ্রাবাদ । আর হায়দ্রাবাদের গোলে অবদান সেই ওগবেচের। বাগানের সন্দেশ ঝিঙ্গান ও তিরি, দুই মোহনবাগান ফুটবলারই ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিন ফুটবলারই চ্যালেঞ্জের পর মাঠের মধ্যে পড়ে থাকলেও বল চলে যায় ইয়াসিরের কাছে। বাঁ-পায়ের সুন্দর বাঁক খাওয়ানো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন ইয়াসির। পিছিয়ে পড়ার পরে ফের ধাক্কা খায় জুয়ানের দল ৬২ মিনিটে ।
তিরি চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন । স্ট্রেচারে করে তাঁকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় । তাঁর বদলে মাঠে নামেন হুগো বৌমাস। তিরি সরতেই ফের বাগান রক্ষণ ভেঙে যায়। ৬৪ মিনিটে ওগবেচের পাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে অনিকেতের পায়ে জমা দেন সন্দেশ । অনিকেত শট নিতে দেরি করলে তাঁকে প্রথমে রুখে দেওয়া সম্ভব হলেও ইয়াসিরের কর্ণার থেকে হাভি সিভেরিয়ো হেডারে গোল করেন। 2 গোলে পিছিয়ে স্বাভাবিকভাবেই মোহনবাগান দলের আত্মবিশ্বাস তলানিতে চলে যায় । তবুও গোলের সুযোগ আসে। ৭২ মিনিটে লিস্টন কোলাসো পেনাল্টি বাঁ-দিক থেকে ভাল শট নেন। কিন্তু গোল হয়নি। সুযোগ পেয়ে গোল করতে ব্যর্থ হুগো বৌমোসও । ডার্বির নায়ক কিয়ানকে নামালেও কাজের কাজ হয়নি। অতিরিক্ত সময় ছয় মিনিট দেওয়া হলেও মোহনবাগান গোলের ব্যবধান কমাতে পারেনি। ফাইনালের টিকিট পেতে গেলে জিততে হবে তাদের বড় ব্যবধানে।