জুলাই 5, 2024
Latest:
জেলা

ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে বিপুল সংখ্যক গরু উদ্ধার

এনএফবি,কোচবিহারঃ

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাচারের উদ্দেশ্য জড়ো করা বিপুল সংখ্যক গরু উদ্ধার করল মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে মাথাভাঙ্গা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী মাথাভাঙ্গা ১নং ব্লকের বৈরাগীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল সংখ্যক গরু উদ্ধার করে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরে এলাকাবাসীর অভিযোগ, চোরাকারবারীরা পাচারের উদ্দেশ্যে এক দল গরু নিয়ে যাওয়ার ফলে চাষের ফসলের ক্ষতি হচ্ছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন পুলিশ অভিযান চালিয়ে সীমান্ত এলাকার বেশ কিছু বাড়িগুলো থেকে অবৈধভাবে পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদ করে রাখা ৫০ টিরও বেশি গরু উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। অভিযান চলাকালীন ওই এলাকায় বাড়িতেই মজুত রাখা ছিল গরুগুলো ৷ কোন বাড়িতেই পুরুষ মানুষ ছিল না। এমনকি বেশকিছু বাড়িতে কোন মানুষই ছিল না। তাছাড়াও বেশ কয়েকটি বাড়ি তালা বন্ধ অবস্থায় ছিল। সেই বাড়িগুলো থেকেও পুলিশ বেশ কিছু অবৈধ গরু উদ্ধার করেছে । গরু উদ্ধারের সময় উল্লেখযোগ্য ভাবে লক্ষ্য করা যায়, বেশকিছু গরু শোবার ঘরে, রান্নাঘরে, এমনকি গরু গুলো যাতে চিৎকার করতে না পারে তার জন্য মুখ বেঁধে রাখা ছিল। এমন দৃশ্যই দেখা গেছে অভিযানের সময়।

আজকের এই অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন,মাথাভাঙ্গা মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মন্ডল, মাথাভাঙ্গা থানার আইসি ভাস্কর প্রধান, মাথাভাঙ্গা থানার সেকেন্ড অফিসার মোহাম্মদ আলী, মহিলা মাথাভাঙ্গা থানার লেডি সাব-ইন্সপেক্টর মিমি সিংহ এবং বিশাল পুলিশবাহিনী। মহিলা পুলিশ কর্মীদের উপস্থিতি ও লক্ষ্য করার মত ছিল।

প্রসঙ্গত বেশ কয়েকদিন আগে মেখলিগঞ্জ থানার অন্তর্গত উচল পুকুরী এলাকায় অবৈধ ভাবে মজুদ করা গরু উদ্ধার করতে গিয়ে পাচারকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হতে হয় বেশ কিছু পুলিশকর্মীকে।সেই কথা মাথায় রেখেই আজ পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা মজুদ গরু উদ্ধার অভিযানের পুলিশি নিরাপত্তা ছিল আঁটোসাঁটো।

অভিযান শেষে মাথাভাঙ্গা মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মন্ডল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে এদিন বালারহাটে অভিযান চালানো হয়, এবং সেখান থেকে বিপুল সংখ্যক পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদ করে রাখা কাগজপত্রহীন গরু উদ্ধার করা হয় । সেই গরু গুলোকে স্থানীয় দুটি খোঁয়াড়ে রাখা হয়েছে। ওই এলাকায় যে বাড়িগুলোতে পাচারের উদ্দেশ্যে গরু গুলো জড়ো করে রাখা হয়েছিল সে বিষয়ে পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিযান ধারাবাহিক ভাবে চলবে বলে জানান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মন্ডল।