গান ছেড়ে নামাবলির ব্যবসায় লক্ষ্মণ দাস বাউল
এনএফবি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
যার গানের তালে লয়ের মূর্চ্ছনায় মুগ্ধ হয়েছে মানুষ। এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুঁটে বেরিয়েছেন। বিরামের তোয়াক্কা না করেই ধারাবাহিক বাউলের অনুষ্ঠান করেছেন। কিন্তু এখন সেসব স্মৃতি। করোনার জেরে বাউল ছেড়ে টোটোতে করে কাঠের মালা, নমাবলির ব্যবসা শুরু করেছে হিলির লক্ষ্মণ দাস বাউল।
হিলির বাসুদেবপুর এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মণ মালো। বয়সের ভারে আজ বৃদ্ধ হয়েছেন তিনি। বাউল সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে তার। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাউল সঙ্গীতের অনুষ্ঠান করেছেন। বেতারেও একাধিক সঙ্গীত সম্প্রচারিত হয়েছে। অনেক গান রেকর্ডের অ্যালবাম ক্যাসেট প্রকাশিত হয়েছিল। বাউলের দীক্ষা নিয়ে লক্ষ্মণ মালো থেকে নাম হয়েছিল লক্ষ্মণ দাস। বাউলের সঙ্গে খ্যাতি বাড়তেই লক্ষ্মণ দাস বাউল বলে সকলের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। বাউল গান করেই জীবিকানির্বাহ করছিলেন তিনি৷ কিন্তু করোনা মহামারির জেরে কোপ পড়েছে বাউল গানের অনুষ্ঠানে।
![](https://newsfrontbangla.com/wp-content/uploads/2022/05/WhatsApp-Image-2022-05-31-at-12.28.55-PM-1024x575.jpeg)
গত দুই বছর ধরে বন্ধ ছিল বাউল গানের অনুষ্ঠান। তাতেই সংকটে পড়ে বাউল শিল্পী। সংসার সামলাতে বাউল গান ছেড়ে উপার্জনের অন্য পথ বেছে নিতে হয়। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করেই উপার্জনের প্রচেষ্টা শুরু করেন। অগত্যা টোটোতে করে কাঠের মালা, নামাবলি সহ দশকর্মা সামগ্রী বিক্রি শুরু করেন। বাউল ছেড়ে এখন সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন প্রতিবন্ধী বাউল শিল্পী।