জুলাই 3, 2024
Latest:
ফিচারবিনোদন

না ফেরার দেশে কিংবদন্তী নৃত্যশিল্পী বিরজু মহারাজ

এনএফবি, নিউজ ডেস্কঃ

কিংবদন্তি কত্থক নৃত্যশিল্পী পন্ডিত বিরজু মহারাজ প্রয়াত। রবিবার গভীর রাতে ৮৩ বছর বয়সে নয়া দিল্লিতে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নৃত্য সাধক।

পরিবার সূত্রে খবর, এ দিন সন্ধ্যায় নাতি নাতনিদের সঙ্গে খেলছিলেন তিনি। হঠাৎ শরীর খারাপ অনুভব করায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বেশ কিছু দিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। চলছিল ডায়ালিসিসও। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া দেশের শিল্পী মহলে।

কালকা বিনন্দাদিন ঘরনার শিল্পী বিরজু মহারাজের জন্ম ১৯৩৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি লখনউয়ের কত্থকের ‘মহারাজা’ পরিবারে। সাত পুরুষ ধরেই তাঁদের পরিবারে কত্থক নাচের চর্চা হয়ে আসছে। জন্মসূত্রে তাঁর নাম ছিল ব্রিজমোহন নাথ মিশ্র। সঙ্গীত ও নৃত্যের পরিবেশেই বড় হন বিরজু মহারাজ।

শিশুশিল্পী হিসাবেই বাবার সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করতে শুরু করেন বিরজু মহারাজ। রামপুরের নবাবের দরবারে নৃত্য পরিবেশন করতেন বিরজু মহারাজ। শুধু কত্থক নৃত্য নয় অসাধারণ সব বাদ্য বাজাতে পারতেন তিনি। সুন্দর ছবিও আঁকতে পারতেন পন্ডিতজি।

ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বাহকদের অন্যতম সেরা এই শিল্পী কত্থক ধ্রুপদী নৃত্যে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। নাচের মাধ্যমে অসাধারণ গল্প বলার ক্ষমতাই তাঁকে বাকিদের থেকে আলাদা পরিচয় তৈরি করে দিয়েছিল। বাস্তব জীবনের টুকরো ঘটনা নাচের অসাধারণ মুদ্রায় ও চোখের জাদুতেই সমগ্র বিশ্বকে মুগ্ধ করতেন তিনি।

মাত্র ২৮ বছর বয়সে সংগীত নাটক অকাদেমির পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। ১৯৮৩ সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পান পদ্মবিভূষণ সম্মান। পেয়েছেন কালিদাস সম্মানও। শাস্ত্রীয় জগতের পাশাপাশি বলিউডের সাথেও গভীর যোগ ছিল বিরজু মহারাজের। সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’, ‘দেবদাস’, ‘বাজিরাও মস্তানি’, ‘বিশ্বরূপম’ ছবিতে কোরিওগ্রাফির জন্য পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কারও।