মনোদীপ ব্যানার্জ্জী, মুর্শিদাবাদঃ
লাল রঙা লিচু নুইয়ে পড়ছে মাটিতে। আর তাই জনা কয়েক যুবক পেড়ে নিয়ে আঁটি বাঁধছে। এখন নামছে গুটি লিচু এরপর নামবে বোম্বাই লিচু। যদিও গাছে পোকা থাকায় বহু লিচু পড়ে যাচ্ছে বলে জানায় লিচু চাষী মহবুল সেখ। লিচু কী তাড়াতাড়ি পেড়ে নিচ্ছেন? উত্তরে এক লিচু চাষীর বক্তব্য, অশনি ঝড়ের পূর্বাভাসে কিছুটা আগে গাছ ঝেড়ে ফেলতে হচ্ছে।
আমপান, যশের ক্ষতের দাগ এখনও রয়েছে। তারই মাঝে চোখ রাঙাচ্ছে ‘ অশনি’। রোদ ঝলমলে আবহাওয়াতেও শঙ্কায় আম – লিচু চাষীরা। দীর্ঘ অতিমারীর দাপটে ফলের ব্যবসায় তেমন লাভের মুখ দেখেনি চাষীরা। তবে এবারে গাছে ফল ধরেছে। তবুও অনাবৃষ্টি ও সারের মূল্য বৃদ্ধিতে লিচু চাষীরা শঙ্কিত।
সুবে বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদে যেমন রয়েছে আমের চাহিদা তেমনই রয়েছে লিচুর খ্যাতিও। তবে এবারে আবহাওয়ার খাম খেয়ালিপনায় লিচু চাষে তেমন লাভের আশা করছেন না দীর্ঘদিনের লিচু চাষী সাদেক সেখ। সপরিবারে নিযুক্ত রয়েছেন লিচু চাষে। শ্রমিকের দৈনিক মজুরি দেওয়ার পরও হাতে এবারে কিছু অর্থ থাকবে বলে জানান তিনি। চুক্তিতে নেওয়া লিচুর বাগান, গত দুই বছর পর তুলনামূলকভাবে চলতি বছরে বিক্রি ভালো হবে বলে মনে করছেন আশাক আলী মন্ডল।
মুর্শিদাবাদের লিচু জেলার নানান জায়গাতে তো বটেই, জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যের বাইরেও বিক্রি হচ্ছে। তবে সময়ের কয়েকদিন আগেই লিচু গাছ ঝেড়ে ফেলায় কতটা লাভ হবে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ রয়েছে লিচু চাষীদের। তারউপর এবারের অশনি আতঙ্কে শঙ্কিত নবাবের জেলার লিচু চাষীরা।