জুলাই 8, 2024
Latest:
ফিচার

শীতলকুচির যুবক খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত, উদ্ধার বাইক মোবাইল

এনএফবি, কোচবিহারঃ

গলায় মোবাইল চার্জারের তার পেঁচিয়ে যুবক খুনের মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হল। গতকাল সকালে মাথাভাঙ্গা থানার বেলতলা এলাকায় রাজ্য সড়কের পাশে শীতলকুচির নলগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মনসুর আলি নামে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে দেহ উদ্ধারের ১০ ঘণ্টার মধ্যে ওই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে খুন হওয়া যুবকের মোটর সাইকেল এবং মোবাইল ফোন। গ্রেপ্তার হওয়া ওই যুবকের নাম জহিরুল মিয়াঁ। তার বাড়িও শীতলকুচির নলগ্রাম এলাকায়। এদিন তাকে মাথাভাঙ্গা আদালতে তোলার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।

জানা গেছে , মঙ্গলবার রাতে যুবক মনসুর আলি তার গোঁসাইয়ের হাটে থাকা দোকান বন্ধ করে মোটর সাইকেলে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিল । কিন্তু সেই রাতে সে আর বাড়ি ফেরেনি। বুধবার সকালে মাথাভাঙ্গার বেলতলা এলাকার রাজ্য সড়কের পাশ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায়, গলায় মোবাইলের চার্জার দিয়ে পেঁচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় মনসুর আলির দেহ উদ্ধার হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর পর খুনের কিনারা করতে তদন্ত শুরু করে। এর মধ্যেই পুলিশের কাছে তথ্য আসে মনসুরের মোটর সাইকেল এবং মোবাইল ফোন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, দেহ উদ্ধারের হওয়ার সামান্য আগে মনসুরের মোবাইল থেকেই তার পরিবারের এক সদস্যের কাছে ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয়। এরপরে পুলিশ মনসুরের মোবাইল লোকেশন টার্গেট করে তদন্ত শুরু করে। কোচবিহার কোতোয়ালি থানা এলাকায় মনসুরের মোবাইল টাওয়ার খুঁজে পায় পুলিশ। আর সেই সূত্র ধরেই অভিযুক্তকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয় পুলিশ।

নিজস্ব চিত্র

তবে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এই খুনের পিছনে শুধু গ্রেপ্তার হওয়া যুবক জহিরুল মিয়াঁ একা নয়, আরও কয়েকজন যুক্ত থাকতে পারে, পাশাপাশি শুধুমাত্র মোবাইল এবং বাইক ছিনতাই করার জন্যই কি ওই খুন না এর পিছনে আরও অন্য কোন উদ্দেশ্য রয়েছে, তা নিয়েও পুলিশ তদন্ত করছে। এদিন আদালতে তোলার পর জহিরুলকে পুলিশে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলেও জানা গিয়েছে।
মাথাভাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানান, নলগ্রামের যুবক খুনে ঘটনার তদন্তে নেমে কোচবিহার কোতোয়ালি থেকে জহিরুল মিয়াঁ (২০) নামে নলগ্রামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে মনসুরের বাইক ও মোবাইল ফোন। কী উদ্দেশ্য নিয়ে খুন করা হয়েছে আর কে কে জড়িত আছে তা জানতে পুলিশ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। খুনের দশ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হওয়ায় মাথাভাঙ্গা পুলিশের বড়সড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।