জুলাই 5, 2024
Latest:
ক্রীড়া

ডার্বিতে ছেলেদের লড়াই দেখে খুশি মারিও

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

এই নিয়ে টানা হাফ ডজন ডার্বি হারলো ইস্টবেঙ্গল। তবে হারলেও দলের খেলা ও ছেলেদের লড়াই দেখে খুশি লাল হলুদ কোচ মারিও রিভেরা। ডার্বি হেরে মারিও জানান,”এ রকম একটা ম্যাচ হারলে তো হতাশ হতেই হবে। তবে দলের ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি গর্বিত। প্রচুর লড়াই করেছে ওরা। ম্যাচটা আমরা জিততেও পারতাম। যে রকম চেয়েছিলাম, সে রকমই খেলেছে ওরা। শুরুতেই একজন খেলোয়াড়ের চোট হয়ে যাওয়ায় আমরা সমস্যায় পড়ে যাই। ডিফেন্সে আমাদের পরিবর্তন করার আর কোনও উপায় ছিল না।অবশ্যই আমরা এই ফলটাই ধরে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা এত দ্রুত গোল করে দিল যে আমরা ঠিকমতো দলে পরিবর্তন এনে সেই অবস্থাটা সামলাতে পারলাম না। ওরা (এটিকে মোহনবাগান) যদি আর একটু দেরিতে প্রথম গোলটা করত, তা হলে হয়তো সামাল দেওয়া যেত।” ইস্টবেঙ্গলের এক প্রাক্তন কিংবদন্তির পুত্র আপনাদের হারের কারণ হয়ে উঠল, এটা সমর্থকদের কাছে কতটা অস্বস্তিকর! লাল হলুদের স্প্যানিশ কোচ জানান,”সমর্থকদের একটাই কথা বলব। দলের খেলোয়াড়দের জন্য আমাদের গর্ব করা উচিত। ওরা আজ অসাধারণ খেলেছে। বিশেষ করে রক্ষণে যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে ওরা, সে জন্য ওদের অভিনন্দন জানানো উচিত। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি ম্যাচটা কিছুটা ওপেন হয়ে যায়। ওই সময়ে আমরা ফের ব্যবধান তৈরির সুযোগ পেয়েছিলাম। এই রকম পরিস্থিতে গোল খাওয়ারও ঝুঁকি থাকে। সেটা আমরা আটকাতে পারিনি বলেই ম্যাচটা হারতে হল।আমাদের খেলোয়াড়দের দৃঢ় মানসিকতা, লড়াকু পারফরম্যান্স। যে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে চেয়েছিলাম, সে রকমই খেলেছে ওরা। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে, শুরুতেই একজন চোট পেয়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়। গর্ব করার মতো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে ওরা। এই রকম পারফরম্যান্সের পর এ বার পরবর্তী ম্যাচে আমরা জেতার জন্যই নামব।”

আরও পড়ুনঃ মুম্বই ছাড়া নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম পেতে চলেছে আইপিএল প্লে অফের ম্যাচ

এদিন ম্যাচের শুরু থেকে কিন্তু বাগান ছিল ছন্দহীন। তুলনায় লিগ তালিকার শেষে থাকা এসসি ইস্টবেঙ্গল শুরুতেই চমকে দিয়েছিল। নিজেদের মধ্যে পাসিং ফুটবল খেলতে খেলতে বাগানের রক্ষনে আক্রমণ করছিলেন লাল-হলুদের ফুটবলাররা। প্রধমার্ধে গোল শূণ্য থাকলেও ম্যাচের চারটি গোল হল দ্বিতীয়ার্ধে।ম্যাচের ৫৬ মিনিটে কর্নার থেকে গোল করে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন সিডল। গোল হজম করার পর বাগান কোচ মাঠে নামান কিয়ান নাসিরিকে। সেটাই যে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হবে কে জানতো!