অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
সিএবি সভাপতির চেয়ারে পাকাপাকিভাবে বসেই মাস্টার স্টোক দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় যাওয়া ঋদ্ধিমান সাহাকে বাংলায় ফেরার আমন্ত্রণ জানান স্নেহাশিস। এ দিন তিনি সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভায় সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন, “দীনেশ কার্তিক যদি ৪০ বছর বয়সে ইন্ডিয়া খেলতে পারে তাহলে ঋদ্ধি নয় কেন! ও বাংলার সম্পদ। যখন বাংলা ছেড়ে চলে যায় আমি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলি ওকে ফিরে আসার জন্য। এটা ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমি অনুরোধ করছি ওকে বাংলায় ফিরে আসতে। ও বাংলায় ফিরলে আমার থেকে বেশি খুশি কেউ হবে না।” শুধু ঋদ্ধিমান সাহা নয় বাংলা ছেড়ে ঋদ্ধির সঙ্গে ত্রিপুরায় যাওয়া আর এক ব্যাটার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কেও বাংলায় ফিরে আসার আমন্ত্রণ জানালেন তিনি।
তার কথায়, “সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাপারটা আলাদা। ও আমার সঙ্গে কথা বলে বাংলা ছাড়ে কারণ ও একটা বদল চায় তখন। ও বলেছিল এক বছর পরে ফিরে আসবে আশা করছি ও ফিরবে। আবারও বলবো ঋদ্ধিকে ফেরার কথা কারণ বাংলাই ওর খেলার সেরা জায়গা।”
প্রসঙ্গত ঋদ্ধিমান সাহা ভারতীয় দল থেকে বাদ যাওয়ার পরে সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস ঋদ্ধির বাংলায় দায়বুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপর ঋদ্ধিমান বাংলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও ত্রিপুরা গিয়ে ক্যাপ্টেন ও মেন্টর ঋদ্ধির পারফরমেন্স মোটেও ভালো হয়নি।
এখন দেখার স্নেহাশিসের ডাকে ঋদ্ধি আদৌ সাড়া দেন কিনা। কারণ গত কমিটির কাছে মাথা ব্যথার কারণ ছিল বাংলার ক্রিকেটারদের ভিন রাজ্যে খেলতে যাওয়া
এছাড়া স্নেহাশিস এদিনের বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে বলেন, সিএবির বয়স ভিত্তিক লিগগুলো গত ২ বছর করোনার জন্য ভালো করে হয়নি সেগুলো আবার ভালো করে শুরু হবে।”
এছাড়া ২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য ইডেনের বিভিন্ন ব্লক নতুন করে তৈরী হবে। সম্ভবত আগামী বছরের আইপিএলের আগেই তৈরী হয়ে যাবে।এদিন বার্ষিক সাধারণ সভায় ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। এদিন সৌরভ নতুন কমিটির উদ্দেশ্য জানালেন, “ওরা সবাই অভিজ্ঞ। ওদের পরামর্শ দেওয়ার কিছু নেই।”
ভারতীয় দলের পারফরমেন্স নিয়ে তিনি জানালেন, “এখনও বাকি আছে আরও ম্যাচ ভারত পরের রাউন্ডে যাবে।” ঋষভ পন্থকে ভারতীয় দলে না নেওয়া আর বিরাট কোহলির ঘরের ভিডিও লিক হওয়া নিয়েও সৌরভ কিছু জানাননি।