অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
যতই ভারতীয় নির্বাচকরা তাকে বয়সের অজুহাতে দল থেকে বাদ দিন না কেন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা কিন্তু নিজের পারফরমেন্স করে প্রমাণ করে চলেছেন। শুরুতে গুজরাট টাইটন্স অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষককে প্রথম একাদশে রাখলেও, ঋদ্ধিমান সুযোগ পেতেই নিজেকে প্রমাণ করেন । ওপেনার এবং উইকেটরক্ষক হিসাবে দলে নিজের জায়গা পাকা করে নেন। ১০টি ম্যাচ খেলে ৩১২ রান করেন ঋদ্ধি। এখনও বাকি ফাইনাল ম্যাচ। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামার আগে ঋদ্ধি সম্পর্কে গুজরাট দলের বাঁ হাতি বিস্ফোরক ব্যাটার ডেভিড মিলার বলেন,”আমাদের দলের শক্তি ঋদ্ধিমান। খুব বেশি কথা বলে না, কিন্তু নিজের কাজটা ঠিক করে দেয়। ওপেনার হিসাবে খেলতে নেমে আমাদের উপর থেকে চাপটা কমিয়ে দেয়। আশা করব আরও একটা ম্যাচ ও ভাল খেলবে।” প্রসঙ্গত আইপিএল ভালো খেলেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে সুযোগ হয়নি ঋদ্ধির। আর বাংলার রঞ্জি কোয়ালিফায়ার দলে তাকে রাখা হলেও তিনি যে খেলবেন না সেটা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। এখন ঋদ্ধি আইপিএল ট্রফি জিতে আক্ষেপটা মেটাতে চান।
আইপিএল ফাইনালে নামার আগে এদিন মিলার নিজের ব্যাটিং নিয়ে জানালেন,”এই বছর আমি স্পিনারদের বিরুদ্ধেও ভালো খেলতে পারছি। এটার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমি এমনটা মনে করি না যে, আমি স্পিন বল সামলাতে পারি না। কিন্তু বিশ্বাস নিয়ে এগিয়েছি, স্পিনারদের বিরুদ্ধে আরও ভালো খেলতে হবে, সে কারণে উন্নতি প্রয়োজন। স্পিন খেলতে মানসিকতাতেও বদল এনেছি। টি ২০-তে প্রতিটি বলই যাতে ভালো খেলতে পারি সে কারণে দু-একটা বিষয়ে বদল এনেছি। খারাপ বলে যাতে বড় শট নিতে অসুবিধা না হয়, সেরা পজিশনে থাকতে পারি, সেটাই নিশ্চিত করেছি। এতে বোলারের উপর চাপ তৈরি করা যায়। এবার আমি কিছুটা উপরের দিকে ব্যাট করছি। পাঁচে নামছি। প্রথম থেকে সব ম্যাচে খেলায় ব্যাট করার পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়েছি। দলের বাইরে যেতে হয়নি। এতে বাড়তি আত্মবিশ্বাসও লাভ করেছি। সকলকে পাশে পেয়েছি। সব ম্যাচ খেললে একজন প্লেয়ার থিতু হতে পারেন, দলে সুযোগ পাওয়া কিংবা না পাওয়ার ভাবনা মাথায় রাখতে হয় না ।” প্রসঙ্গত ঋদ্ধি আইপিএল চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ২০১১ সালে জিতলেও মিলার একবারও এই ট্রফি পাননি।