এনএফবি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
বালুরঘাট পুরসভায় বোর্ড মিটিং এর আগেই আইএনটিটিইউসি নেতার দাদাগিরি। তার মারে আহত এক পুর কর্মী। এরপর কিছুক্ষণের জন্য বোর্ড মিটিং বন্ধ করে দেয় পুরসভার কর্মীরা। পরে পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্রর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নতুন করে বোর্ড মিটিং শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি রাকেশ শীল-এর বিরুদ্ধে। তৃণমূল নেতার এহেন দাদাগিরিতে হতবাক পুরসভার কর্মচারীরা। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের শ্রমিক নেতা রাকেশ বাবু।
জানা যায়, স্থানীয় এক মহিলা বিধবা ভাতার জন্য এদিন পুরসভায় আসেন। তার বিধবা ভাতার টাকা ব্যাংকে জমা পড়লেও, তিনি টাকা পাচ্ছিলেন না পুরসভার একটি শংসাপত্রের কারণে। ঐ বিধবা মহিলার অভিযোগ, বিধবা ভাতা বিভাগের কর্মী তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এদিকে বয়স্ক ঐ বিধবাকে বিধবা ভাতা পেতে পুরসভায় যোগাযোগ করতে বলেছিলেন আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি রাকেশ শীল। তার পাঠানো লোককে পুরসভার কর্মী খারাপ ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে রাকেশ বাবু পুরসভার ঐ কর্মী রুদ্র প্রসাদ সাহাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এদিকে বালুঘাট পুরসভা পুর নির্বাচনের পর এদিন ছিল প্রথম বোর্ড মিটিং। পুর কর্মীকে মারধর করায়, বোর্ড মিটিং চলাকালীন ঐ সময়েই পুর কর্মচারীরা বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে বোর্ড মিটিংয়ের ভিতরে ঢুকে পড়েন এবং সেখানেই চেয়ারম্যানের বিবৃতি দাবি করেন।
চেয়ারম্যান তাদের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিলে এই মুহূর্তে পুর কর্মচারীরা বোর্ড মিটিংয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেও বালুরঘাট পুরসভার সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে অভিযুক্ত আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি রাকেশ শীল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, তিনি ঐ সময় পৌরসভায় ছিলেন না। মারধরের কোনো প্রশ্নই নেই।