মৃত ব্যক্তি বেঁচে আছে ডায়ালিসিস বিভাগের নথিতে, তোলা হচ্ছে টাকা

এনএফবি, জলপাইগুড়িঃ

মৃত ব্যক্তির নাম করে বিল তোলা হচ্ছে নিয়মিত এমনটাই অভিযোগ উঠলো জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের ডায়ালিসিস বিভাগের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

ডায়ালাসিস নিতে আসা রোগীদের একাধিক অভিযোগ। পরিষেবা ঠিক ভাবে দেওয়া হচ্ছে না। নিয়ম না মেনে দুজনের ডায়ালাসিসের যন্ত্রাংশ দিয়ে চার পাচজন রোগীকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এর জেরে ডায়ালাসিস নিতে আসা রোগীরা একাধিক সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ। সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠল এক বছর আগে মৃত ব্যক্তির নাম করে প্রতিমাসে সরকারি কোষাগার থেকে টাকা তোলা হত। অভিযোগ শুনেই চোখ কপালে স্বাস্থ্য কর্তাদের। এমনটাও হতে পারে হতবাক সকলে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডায়ালিসিস ইউনিটের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা।  জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সরকারের সঙ্গে যৌথ ভাবে চলছে ডায়ালিসিস ইউনিট। বেসরকারি সংস্থা ব্যারাকপুর মেডিকেয়ার এন্ড রিকোভারি সেন্টার লিমিটেড এই ইউনিটটি পরিচালনা করছেন। জলপাইগুড়ি সুভাষ উন্নয়ন পল্লীর বাসিন্দা দল বাহাদুর বিশ্বকর্মা একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন। তিনি গতবছর মারা যান কিডনির সমস্যা থাকায়। এদিকে খাতায় কলমে দল বাহাদুর বিশ্বকর্মা চলতি বছরের ৫ এপ্রিল ডায়ালিসিস করেছেন।  কিন্তু উনি মারা গিয়েছেন গতবছর ২৩ জুনে।

জ্যোতিষ চন্দ্র দাস (জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক)

দল বাহাদুর বিশ্বকর্মার ছেলে প্রভাত বিশ্বকর্মা বলেন,” বাবা গত ২৩ জুন ২০২১ সালে মারা যান। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সদর হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিটে তিনি ডায়ালিসিস করাতেন।” আরেক রোগীর ছেলে সফিকুল রহমান বলেন, “আমার বাবা ডায়ালাসিস করাতে আসেন। পরিষেবা ঠিক নেই। মৃত ব্যক্তির নামেও বিল করা হচ্ছে।” এদিকে জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জ্যোতিষ চন্দ্র দাস বলেন,” ভীষণই গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করব। এখুনি এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না।”