এনএফবি,মুর্শিদাবাদঃ
বিগত বিধানসভা নির্বাচনে সাংসদ আবু তাহের খান সৌমিক হোসেনকে হারানোর জন্য ভোট করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।” দু’বছরের ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে ফের দলের মুল স্রোতে ফিরে এই কথা বললেন রানিনগর ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জুলফিকার আলি ও মুর্শিদ নওয়াজ। দলের বিধানসভার প্রার্থীকে হারানোর নির্দেশ শুধু নয়, ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দলের ব্লক সভাপতি করে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন সাংসদের ভাগ্নে তৈমুর খান। ওই অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। যদিও সাংসদ আবু তাহের খান বলেন “ সর্বৈব মিথ্যা অভিযোগ। ঘোলাজলে কেউ মাছ ধরতে এসব মিথ্যা গুজব রটাচ্ছে। এসব মিথ্যা কথার উত্তর দিতে হবে মনে করি না।” রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহ আলম সরকার জানান “ আমি তো ভোটের সময়েই ওই অভিযোগ তুলেছিলাম। অনেকে বিশ্বাস করেননি। আজ নিশ্চয় তারা বুঝবেন সেদিন আমি ঠিক ছিলাম।”
দু’বছর আগে মুর্শিদ নওয়াজ রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ছিলেন। সেই সময় তিনি তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হওয়ার জন্য সাংসদ ও তৎকালীন জেলা সভাপতি আবু তাহের খানের কাছে বায়োডাটা জমা দিয়েছিলেন। আর তখনই নাকি সাংসদ তার ভাগ্নেকে দিয়ে টাকা চেয়েছিলেন। একথা প্রকাশ্যে বলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে মুর্শিদ নওয়াজের সভাপতি হওয়ার ইচ্ছা নিয়েই ব্লক সভাপতি শাহ আলমের সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়। যার সুবাদে তারা বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দলের মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। সেই ভুল বুঝাবুঝি কাটিয়ে শুক্রবার তারা ফের দলের মূল স্রোতে যোগ দেন ও সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা জানান সাংসদের নির্দেশেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহ আলমের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। আজ থেকে তা মিটে গেল। সাংসদ আবু তাহের খান বিধানসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থীকে হারানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেও জানান।