জুলাই 8, 2024
Latest:
ক্রীড়া

এটিকে বলে কোনো ক্লাবের অস্তিত্ব নেই, বারপুজোর দিন বিস্ফোরণ দেবাশিসের

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

মোহনবাগানের আগে থেকে এটিকে হটাও। দীর্ঘদিনের দাবি মোহনবাগান সমর্থকদের। যুবভারতীতে শ্রীলঙ্কা ব্লু স্টারের বিরুদ্ধে এএফসি কাপের ম্যাচেও পোস্টার নিয়ে সেই দাবিতে সরব ছিলেন বাগান সমর্থকরা। এবার মোহনবাগান ক্লাবের বারপুজোর দিনে এটিকে নিয়ে বিস্ফোরণ বাগানের অর্থসচিব দেবাশিস দত্তর । এদিন দেবাশিস জানালেন, “বিজয় মালিয়া একবার বলেছিল McDonald বলে একটা ফুটবল ক্লাব করবে অঞ্জন দা (মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব ) । বলেছিল তাহলে আপনার তিনজন সমর্থক থাকবে আপনি আর আপনার দুজন কর্মচারী। সবার আগে বুঝতে হবে এটিকে কী! আর এটিকে মোহনবাগান কী! এটিকে বলে আর কোনো ফুটবল ক্লাবের অস্তিত্ব নেই। এটিকে কোম্পানি উঠে গেছে ওদের একটা ব্র্যান্ড আছে কলকাতা প্রাইভেট সংস্থা নামে। আর মোহনবাগানে সবাই সদস্য যারা কাজ করতো আর এটিকেতে যারা কাজ করে তারা কর্মচারী। আমাদের দুজন সদস্যকেও ওখানে ঢোকানো হয়েছে। আর সত্যি বলতে হয়তো অনেকের মনে হয় না কিন্তু আমাদের মোহনবাগান অফিসিয়ালদের কাজ বেড়ে গেছে।” এটিকে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট গ্রপে কি মোহনবাগানের লোকেরা ব্রাত্য! এই প্রশ্নের উত্তরে দেবাশিস জানাচ্ছেন, “কে বলেছে এই সব কথা, আমি কাশ্মীর গেছিলাম ওখান থেকে ফেরার সময় ফোন পেলাম যে মোহনবাগান সমর্থকদের পোস্টার, ব্যানার নিয়ে এএফসি ম্যাচে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আমি সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতিবাদ করি এবং ম্যানেজমেন্টকে বলি এই জিনিস করা ঠিক হবে না। সমর্থকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। সঙ্গে সঙ্গে সেই আবেদন মঞ্জুর হয়ে যায়। সমর্থকরা মাঠে ব্যানার আর পোস্টার নিয়ে যেতে পারে।” এদিন পড়শি ক্লাব ইস্টবেঙ্গলকে সমালোচনাও করতে ছাড়লেন না বাগান সচিব । তিনি জানালেন, “যাদের ইনভেস্টর নেই তারা চিন্তা করুক। আমাদের ইনভেস্টর আছে আমরা কেন চিন্তা করতে যাব।” দুই বছর পরে মোহনবাগান ক্লাবে বারপুজো হচ্ছে। দেবাশিসের বক্তব্য, “চুনী গোস্বামী মারা গেলো, মাত্র চারজন লোক গেলো সঙ্গে । এরপরে আরও বড় বড় অনুষ্ঠান আমরা করতে পারলাম না। এত দিন পরে ক্লাব গমগম করছে দেখেও ভালো লাগছে। টুটু দা, অঞ্জন দাদের জন্য ক্লাবে আসা উনাদের মিস করছি ভীষণভাবে।” মোহনবাগান তাঁবুতে এ দিন এসেছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো, সহকারী কোচ বাস্তব রায়। ফুটবলারদের মধ্যে এসেছিলেন প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বসু, লিস্টন কোলাসো, সুব্রত পাল, কিয়ান নাসিরিরা। এসেছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে ছিলেন মানস ভট্টাচার্য্য, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়।