অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
রানের খরা চলছে বিরাট কোহলির ব্যাটে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে শেষবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরী পেয়েছিলেন বিরাট। এরপর থেকেই যেন খারাপ সময় নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে তাঁর। একের পর এক ব্যর্থতা। তাঁর ৭১ তম সেঞ্চুরীর অপেক্ষাটা যেন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আগামী ১ জুলাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামছে ভারত। সেখানে সকলে যখন বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে ফের একটা সেঞ্চুরীর প্রত্যাশায় রয়েছেন। সেই সময় রাহুল দ্রাবিড় খানিকটা অন্য মেজাজেই। সেঞ্চুরী নয় বিরাট কোহলির থেকে ম্যাচ উইনিং মক দেখতে চান ভারতীয় দলের কোচ।
সম্প্রতি বিরাট কোহলির পারফরম্যান্স গ্রাফ একেবারেই নীচের দিকে। একদিনের ক্রিকেট থেকে টেস্ট, টি টোয়েন্টি কোনও জায়গাতেই সাফল্য নেই বিরাট কোহলির ব্যাটে। শেষবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে নেমেছিলেন তিনি। সেখানে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি ভারতীয় দল। ২-১-এ সেই সিরিজ হারতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে। সেই মঞ্চেও ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিলেন বিরাট। এরপরই ভারতের টেস্ট দলের নেতৃত্বও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।ঘরের মাঠে আইপিএলেও বদলায়নি সেই চিত্রটা। আইপিএলের ১৬টি ম্যাচ খেলে মাত্র ১টি অর্ধশতরান পেয়েছিলেন তিনি। কোনওরকমে গোটা আইপিএলে ৩০০ রানের গন্ডী টপকে ছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা যেন থামতেই চাইছে না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামার আগেও সেই বিরাট কোহলির ব্যাটে বড় রান আসা নিয়েই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতে চাপ কমতে আসরে নেমে পড়েছেন রাহুল দ্রাবিড়।
২০১৯ সালের পর থেকে বিরাট কোহলির ব্যাটে সেঞ্চুরী নেই। ১ জুলাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামার আগে রাহুল দ্রাবিড় বিরাট প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “সবসময় যে এই তিন সংখ্যার রানই সমস্ত সমাধান করবে তেমনটা নয়, কেপটাউনে ৭০ রানের ইনিংস কী করেছিল তা আমরা সকলেই দেখেছি। তা হয়ত তিনি ৩ সংখ্যার স্কোরে বদলাতে পারেননি, কিন্তু ভারতীয় দলকে তা যথেষ্ট সাহায্য করেছে। অবশ্যই তিনি নিজের যে জায়গা প্রস্তুত করেছেন, সেখানেই সকলেই তাঁর থেকে শতরান দেখতে চান। কিন্তু আমি একজন কোচের নজর থেকে বলতে পারি যে আমরা তাঁর থেকে এক ম্যাচ উইনিং মক দেখতে চাই। সেটা ৫০ হোক কিংবা ৬০ একটা ম্যাচ উইনিং ইনিংস দেখতে চাই”।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এজবাস্টনে এই ম্যাচ জিততে পারলেই নজির গড়বে ভারতীয় দল। তার আগে লেস্টারশায়ারের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে নেমেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেখানে প্রথম ইনিংসে বড় রান না পেলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে কিন্তু বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে এসেছিল ৬৭ রানের ইনিংস। আর সেটাই হয়ত এখন স্বস্তি দিচ্ছে ভারতীয় শিবিরকে।
লেস্টারশায়ারের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলি পেয়েছিলেন ৬৭ রান। সেই ধারাই ইংল্যান্ডের ব্রড, অ্যান্ডারসনদের বিরুদ্ধে তিনি ধরে রাখতে পারেন কিনা সেটাই এখন দেখার।