জুলাই 8, 2024
Latest:
ক্রীড়া

ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে চিন্তায় নেই, জুয়ান প্রীতম চাইছেন সৌরভের সামনে জয়

স্পোর্টস ডেস্ক, এনএফবিঃ

এএফসি কাপে ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে হার। ডুরান্ড কাপের ব্যর্থতা পাহাড় প্রমাণ সবকিছু চাপ গত কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচের জয় চাপা ফেলে দিলেও ছাই চাপা আগুন কিন্তু একটা ডার্বির ভুলেই জ্বলে উঠবে।

সেটা ভালো করেই জানেন এটিকে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ জুয়ান ফেরান্দো। সেই কারণেই চাপ কাটাতে ডার্বিকে আর পাঁচটি ম্যাচের মতোই নিচ্ছেন জুয়ান। ইস্টবেঙ্গল দল গত ম্যাচ জিতে টগবগ করে ফুটছে সেই বিষয়ে জুয়ান জানাচ্ছেন, “আমি আমার দল নিয়েই বেশি ভাবি। কারণ, প্রতিপক্ষ কেমন, তা তো আর আমার হাতে নয়। প্রতিপক্ষ ভাল দল। ওদের ভাল ভাল খেলোয়াড় আছে। কিন্তু আমি নিজের দলের উন্নতি নিয়ে বেশি ভাবি। সামনে অনেক ম্যাচ আছে। এটাই এখন আমাদের লক্ষ্য। ছোটখাটো ব্যাপারগুলোতে আরও উন্নতি করতে হবে আমাদের। তবে প্রতিপক্ষদের নিয়ে বেশি চিন্তা করছি না।”

জুয়ানের পরিকল্পনা নিয়ে বাগান সমর্থকরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছেন। বাগান কোচের বক্তব্য,
ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রকমের ব্যাপার ঘটে। অনেক সময় চাপের মুখে ছোটখাটো ব্যাপারগুলোর ওপর থেকে নজর সরে যায়। এটা ফুটবলেরই অঙ্গ। এই নিয়ে পরে আবার কাজ শুরু করতে হয়। এই প্রক্রিয়াটা মোটেই সোজা নয়। ছেলেদের সবসময়ই বলি পরিকল্পনা, কৌশল থেকে সরে গেলে চলবে না। ধাপে ধাপে এগুলো ঠিক হবে এবং দল আরও শক্তিশালী হবে। দলের পরিকল্পনাটা ঠিক থাকা খুব জরুরি। এএফসি কাপ সেমিফাইনালের মতো ম্যাচ হেরে গেলে হতাশা আসে ঠিকই। তবে অতীতটাকে তো আর বদলে ফেলা যায় না। বর্তমান. ভবিষ্যৎ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের কাছে।’

ফ্লোরেন্তিন পোগবা ও ব্রেন্ডান হ্যামিল প্রত্যাশা পূরণ করতে আইএসএলে ব্যর্থ।
জুয়ান জানালেন,
বিদেশি খেলোয়াড়দের প্রধান লক্ষ্য থাকে দলকে সাহায্য করা। বিভিন্ন ক্লাবের বিদেশিদের একই উদ্দেশ্য থাকে। স্থানীয় ফুটবলারদের সাহায্য করে থাকে ওরা। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল ওরা যেন একই ভাবে খেলে যায়। আমি খুশি যে, আমাদের বিদেশিরা দলকে সাহায্য করে চলেছে। ছ’জন বিদেশিই অনুশীলনে তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। এটা ক্লাবের ও দলের পক্ষে খুবই ভাল। ‘

দিমিত্রি কেরালা ম্যাচে নিজের জাত চেনান। বাগানের স্প্যানিশ কোচ জানাচ্ছেন,
একজন বা দু’জন খেলোয়াড়কে নিয়ে আলাদা করে আলোচনা করাটা বোধহয় ঠিক নয়। ২২জন প্রতিভাবান ফুটবলার মাঠে নামবে। তাদের প্রত্যেকের সামনেই সমান সুযোগ থাকবে। আগেও বলেছি, আমরা যদি কাল দল হিসেবে খেলতে পারি, তা হলে কোনও বিশেষ খেলোয়াড়ের দিকে বাড়তি মনযোগ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। দশ-কুড়ি বছর আগে হয়তো দু-একজন খেলোয়াড় অনেক কিছু বদলে দিতে পারত। কিন্তু এখন আধুনিক ফুটবলে ১১ জন খেলোয়াড়ই সমান গুরুত্বপূর্ণ। যদিও দলের ১১জন খেলোয়াড়ের একই গতি-বেগে বা ছক বজায় রেখে খেলা কঠিন, কিন্তু আমাদের এটাই লক্ষ্য।

দলের রক্ষণ সমস্যা নিয়ে এটিকে মোহনবাগান কোচ খাটছেন। তার বক্তব্য,
রক্ষণ নিয়ে অবশ্যই আমরা ভাবনা-চিন্তা করছি। গত ম্যাচেও আমাদের সমস্যা ছিল। তবে আক্রমণ ভাল হওয়ায় তা সামলে গিয়েছে। তবে শুধু আক্রমণ বা রক্ষণে আলাদা করে নজর দেওয়াটা ঠিক নয়। ফুটবলে অনেক সময় আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, না হলে প্রচুর ভুল হয়। সেগুলোই শোধরাতে পারলে আশা করি অনেক সমস্যা মিটবে।’

এদিকে জুয়ানের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে আসা এটিকে মোহনবাগানের অন্যতম অধিনায়ক প্রীতম কোটাল ইস্টবেঙ্গলকে একপ্রকার গুরুত্ব দিলেন না। শনিবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ম্যাচ দেখতে আসছে সেই নিয়ে জানালেন, জানি দাদা আসছে ম্যাচ দেখতে। আগের দিন আমাদের প্র্যাকটিসেও এসেছিল। আশা করি, দাদার সামনে ভালো ফল করব আমরা। আর গত ছয়টি ডার্বি আমরা জিতেছি। আশা করি এবারও ফল আমাদের দিকেই থাকে। এই ম্যাচের চাপ নিচ্ছি ২০১৩ সাল থেকে আমার কাছে এটা নতুন কিছুই নয়।’

এদিকে ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন ক্লেটনের হ্যাটট্রিকের হুমকি দিয়ে গেছেন। প্রীতম জানিয়ে গেলেন, সেটা তো মাঠেই দেখা যাবে। ফুটবল তো মাঠেই খেলা হয়।’ সব মিলিয়ে ডার্বির উত্তাপ জমে দই হয়ে গেছে।