দশম দিনে পড়ল মাদ্রাসার বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অনশন বিক্ষোভ
নিউজ ডেস্ক, কলকাতাঃ
বিকাশ ভবনের কাছে মাদ্রাসার বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অনশন বিক্ষোভ আজ দশম দিনে পড়ল। হাইকোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে চলছে টানা ১৪ দিনের অনশন কর্মসূচি।
কিন্তু মঞ্চে সকল স্তরের বুদ্ধিজীবী রাজনীতিবিদ উপস্থিত হলেও মঞ্চে অদ্যাবধি উপস্থিত হননি, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি। শুধু তাই নয়, চাকরিপ্রার্থীরা পাঁচ বছর ধরে কমিশনে ডেপুটেশন জমা করতে গেলেও কমিশনের চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারির দেখা মেলে না।
![](https://newsfrontbangla.com/wp-content/uploads/2022/07/IMG-20220701-WA0049-1024x563.jpg)
তাই আজকে অনশনকারী চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ হাজরা মোড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে সরাসরি ডেপুটেশন জমা করতে উপস্থিত হয়। কিন্তু সেখানে ডিউটি রত পুলিশ তাদের আটকায়। ফলত চাকরিপ্রার্থীরা শ্লোগান দিতে শুরু করে, ধর্নায় বসে যায়। প্রাথমিকভাবে ধস্তাধস্তি হলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এবং চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি সহানুভূতি পূর্ণ ব্যবহার করে। চাকরিপ্রার্থীদের থেকে নিজে ডেপুটেশন জমা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেইসাথে আগামী সোমবার চাকরিপ্রার্থীদের পুনরায় ডাকা হবে, বলে জানান।
![](https://newsfrontbangla.com/wp-content/uploads/2022/07/IMG-20220701-WA0050-1024x563.jpg)
প্রসঙ্গত, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন ৩১৮৩ টি পদে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ করবে বলে ২০১৩ সালে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। সেই সঙ্গে গেজেট প্রকাশিত হয়। গেজেটে উল্লেখ ছিল, ৩১৮৩ টি পদের সাথে লিখিত পরীক্ষার ফলের আগের দিন পর্যন্ত যে শূন্য পদ থাকবে তা যুক্ত করে নিয়োগ করা হবে। চাকরি প্রার্থীদের মেরিট অনুযায়ী কমিশনের ওয়েবসাইট ও ডি আই অফিস গুলিতে প্যানেল প্রকাশিত হবে। বি.এড প্রশিক্ষণদের আগে নিয়োগ করা হবে। ২০১০ এর নিয়ম অনুযায়ী একাডেমিক ইভালুয়েশন দেওয়া হবে। কিন্তু মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন এর কোনোটিই করেন নি।
২০১৮ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। যেখানে মাত্র ১৫০০ টি শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়। এরপর,চাকরিপ্রার্থীরা আইনের দারস্থ হয়। সুপ্রিমকোর্ট ২৬০০ জনের অধিক নিয়োগ করার অর্ডার দেয়। কিন্তু কমিশন তা অবজ্ঞা করে। এরপর হাইকোর্ট ১৯০ জনের কেসে একটি বিবেচনা মূলক রায় দিলেও কমিশন তা মান্যতা দেয়নি। ফলত চাকরিপ্রার্থীরা আজ পাঁচটি বছর ধরে কলকাতার রাজপথ জুড়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। যারফলে এবারে তারা কোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে এই অনশন কর্মসূচির আয়োজন করেছে।