নেত্রীর ডাকে বিধানসভার উদ্দেশ্যে পাঁশকুড়ার বিপ্লব, উচ্ছ্বসিত কর্মী-সমর্থকরা

এনএফবি,পূর্ব মেদিনীপুরঃ

এবার মন্ত্রিত্ব পেতে চলেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পূর্ব পাঁশকুড়ার বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরী ৷ নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পেয়ে বিধানসভার উদ্দেশ্যে বুধবার রওনা দিলেন পূর্ব পাঁশকুড়ার বিধায়ক বিপ্লব রায় চৌধুরী। তবে তার আগে ঠাকুরের ফুল মাথায় ছুঁয়ে পরনে সাদা ধুতি পাঞ্জাবি পরে বিধানসভার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন বিধায়ক।

পূর্ব পাঁশকুড়া তথা কোলাঘাটের এলাকাবাসীদের একরাশ আশা যে মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন এলাকার বিধায়ক বিপ্লব রায় চৌধুরী। তবে বর্তমানে ক্ষুদ্র কুটির শিল্প নিগমের চেয়ারম্যান আছেন বিধায়ক বিপ্লব রায় চৌধুরী। দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ বলে দলীয় কর্মীদের কাছে তিনি অতি পরিচিত। চারবারের বিধায়ক বিপ্লব রায় চৌধুরী প্রথমে ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস থেকে বিধায়ক হয়ে ছিলেন। প্রবল সিপিএমের রাজত্ব যখন চলছে তখনই ২০০১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব কাছের বিধায়ক হয়ে ওঠেন এই নেতা। ২০১১ সালে আবার বিধায়ক হয়ে ছিলেন তিনি। তারপর ২০১৬ সালে সিপিএম বিধায়ক পদ ছিনিয়ে নেয় বিপ্লব বাবুর কাছ থেকে। পরে অবশ্য ২০২১ প্রবল গোষ্ঠী কোন্দলের মাঝে পুনরায় আবার বিধায়ক হন বিপ্লব রায় চৌধুরী। তবে এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীরা সবাই তাকিয়ে রয়েছেন তাদের আশা আকাঙ্খা বিপ্লব রায়চৌধুরীকে মন্ত্রিত্ব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই খুশি গোটা পূর্ব পাঁশকুড়ার দলীয় কর্মী সমর্থক থেকে এলাকাবাসীরা। তবে এই সম্বন্ধে স্থানীয় এক চা বিক্রেতা জানান এক সময় এই চায়ের দোকানে আড্ডা ছিল ওই নেতার, তবে বিধায়ক হওয়ার পরে যেমন বেড়েছে অনুগামীদের সংখ্যা, বেড়েছে প্রভাবও, তবে দোকানে আড্ডা না দিলেও রাস্তা দিয়ে বেরোনোর সময় অবশ্যই দেখা করেন এবং কথা বলেন, তবে স্বাধীনতার পর এই বিধানসভা থেকে প্রথম মন্ত্রিত্ব তিনি পেতে চলেছেন, তাই আমরা উচ্ছ্বসিত, তবে তার এই মন্ত্রিত্ব পাওয়ার দৃঢ় অপেক্ষায় স্থানীয় মানুষ জন ৷ স্থানীয় মানুষ জনের বক্তব্য এখনও যে সমস্ত উন্নয়ন মূলক কাজ বাকি রয়েছে সেই সব কাজ গুলি এবার সম্পন্ন হবে, তাই আমরা খুব খুশি।

নিজস্ব চিত্র