এনএফবি,ঝাড়গ্রামঃ
ধামসা বাজিয়ে অষ্টম জঙ্গলমহল উৎসবের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । বিগত বছরে ঝাড়গ্রামে আয়োজিত হতো রাজ্যস্তরীয় জঙ্গলমহল উৎসব । কিন্তু এই বছর জঙ্গলমহল উৎসবকে ৬টি ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে । তাই জঙ্গলমহলের প্রতিটি জেলাতেই আয়োজিত হয়েছে জঙ্গলমহল উৎসব ।
ঝাড়গ্রামে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবার মধ্যে কিভাবে জঙ্গলমহল উৎসব করা সম্ভব এই দাবিকে সামনে রেখে কলকাতা হাইকোর্টের একটি জনস্বার্থ মামলা রুজু করেছিল ঝাড়গ্রামের এক যুবক । তারপরে হাইকোর্ট জেলা শাসকের কাছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জানতে চেয়েছিল জঙ্গলমহল উৎসব কি কি সাবধানতা অবলম্বন করে করা হবে । জেলাশাসক জানিয়েছিলেন করোনার সমস্ত প্রোটোকল মেনেই জঙ্গলমহল উৎসব অনুষ্ঠিত হবে এবং জঙ্গলমহল উৎসবে প্রবেশ করার সময় দুটো ভ্যাকসিন নেওয়ার সার্টিফিকেট অথবা করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে ।
সেইমতো সোমবার করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত হল জঙ্গলমহল উৎসব । দুটো ভ্যাকসিন নেওয়ার সার্টিফিকেট অথবা করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখেই মেলাতে ঢুকতে দেওয়া হলো সাধারণ মানুষদের ৷ এছাড়া থার্মাল স্ক্রীনিং এর মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রাও দেখা হয়েছে মেলায় আগত ব্যক্তিদের ।
জঙ্গলমহল উৎসবে একটা বিশাল কারিগরি হাট তৈরি করা হতো প্রতিবছর কিন্তু এই বছর তা ভেঙে ছোট ছোট স্টল করে দেয়া হয়েছে । এছাড়াও মেলায় দেখতে আসা সাধারণ মানুষের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে ৷ এছাড়াও যে সমস্ত লোক শিল্পীরা নৃত্য করছিল তাদের জন্য বড় করে সাদা কালিতে গণ্ডি কেটে দেওয়া হয়েছিল ।
তিন দিন ধরে চলবে এই জঙ্গলমহল উৎসব ৷ মূলত গ্রাম বাংলার সংস্কৃতিকে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য সরকারের এই জঙ্গলমহল উৎসব । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বন ও ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা , ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস , ঝাড়গ্রামের জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার, জেলার বিধায়করা সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি । এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এখানে উপস্থিত হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে । আমি ডি এম ম্যাডামকে ধন্যবাদ জানাতে চাই । এত সুন্দর একটি মেলা করার জন্য যেখানে এত বড় মাঠের মধ্যে ২০% এর নীচে মানুষ রয়েছে ।