অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
ক্রিকেট নিয়তি থাকলে সব কিছুই সম্ভব। চলতি মাসে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল রজত পতিদারের। কারণ আইপিএল নিলামে তিনি দল পাননি। তবে আরসিবির লুভনিখ সিসোদিয়া চোট পাওয়ায় রজত দলে আসেন। ফলে পরিকল্পনা পাল্টায়। আর ইডেনে লখনউ সুপার জায়ান্ট ম্যাচে অতি মানবীয় ইনিংস। ৫৪ বলে ১১২ রান করে দলকে জিতিয়ে নায়ক হলেন। এদিন তাঁর বাবা মনোহর পতিদার বলেছেন, “সব ঠিকঠাক থাকলে গত ৯ মে ওর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। ছোট একটা অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। ইনদওরে একটা হোটেলও বুক করেছিলাম। খুব বড় কোনও অনুষ্ঠান হবে না বলে নিমন্ত্রণ কার্ডও ছাপানো হয়নি। খুব সীমিত সংখ্যক মানুষের জন্যে হোটেলে বুকিং ছিল।”
মনোহর জানিয়েছেন, আপাতত তাঁরা জুলাইয়ে অনুষ্ঠান করবেন বলে ঠিক করেছেন। আইপিএল শেষ হলেই মধ্যপ্রদেশের হয়ে রঞ্জি খেলতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন পতিদার। সেই দায়িত্ব শেষ হলে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি।
এরপরে তার বাবা জানালেন,”রজত তিন বছর বয়স থেকেই ক্রিকেটের প্রতি আকৃষ্ট ছিল। কম করে আধঘণ্টা ক্রিকেট না খেলে স্কুল যেতে চাইত না । খেলার প্রতি তার আগ্রহের কারণে আমরা তাকে বিজয় ক্রিকেট ক্লাবে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলাম। যখন ওর বয়স ছিল মাত্র আট। আমরা ওকে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে কখনই বাধ্য করিনি কারণ আমরা জানতাম ওর প্রধান অগ্রাধিকার ক্রিকেট।”
ইডেনে ৫৪ বল খেলে ১১২ রান করে দলকে জিতিয়ে তিনি জানালেন,”প্রথমে ডট বল খেললেও নিজের উপর বিশ্বাস হারাইনি। পাওয়ারপ্লে-র শেষ ওভারে যখন আমি ক্রুণাল পান্ডিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলাম, তখন যেভাবে আমি আমার পরিকল্পনাগুলোকে কার্যকর করতে পেরেছিলাম, তখনই আমার মনে হয়েছিল যে আজ আমি বড় স্কোর করতে পারব। আমার ফোকাস ছিল সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হবে এবং স্ট্রেট ব্যাটে খেলা।” তার এদিনের আক্রমণাত্মক মেজাজে রেহাই পাননি লখনউ-এর কোনও বোলার। নিজের এদিনের ইনিংস নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রজত জানান, ‘‘ডট বলের মুখোমুখি হওয়ার পরেও আমি চাপে পড়িনি । কারণ আমি জানতাম যে আমার মধ্যে ক্ষমতা আছে।”
এরপরেই রজত জানালেন, ‘’আমাকে নিলামে তোলা হয়নি, তবে সেই সময়টা আমি অনুশীলনে জড়িত ছিলাম এবং এটাই আমাকে সাহায্য করেছে।’’