জুলাই 5, 2024
Latest:
স্থানীয়

বিকল জেনারেটর, বিদ্যুৎহীন হাসপাতালে স্যালাইনের বোতল হাতে দাঁড়িয়ে রোগীরা

এনএফবি,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

অন্ধকার কাটিয়ে আলো পেতে হাসপাতালে ওয়ার্ডে জ্বলছে মোমবাতি। প্রচণ্ড গরমে অন্ধকারে হাসপাতালের বাইরে স্যালাইনের বোতল হাতে রোগীরা। বেহাল হাসপাতালের পরিকাঠামো। ঝাঁ-চকচকে গ্রামীণ হাসপাতাল আর সেই হাসপাতাল চত্বর অন্ধকারে আচ্ছন্ন, জ্বলছে মোমবাতি। এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। জানাযায় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের গুরুত্ব অনেকটাই শুধু চন্দ্রকোনায় নয় চন্দ্রকোনা, গড়বেতা, কেশপুর সহ বেশ কিছু ব্লকের মানুষ এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালে রয়েছে সিজার ব্যবস্থা। কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতলে বিদ্যুৎ বন্ধ হলে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায়।

স্যালাইন হাতে রোগী। নিজস্ব চিত্র

জানা যায় হাসপাতালে রয়েছে দুইটি জেনারেটর। একটি হাসপাতালের নিজস্ব, অপরটি হাসপাতলে আলো দেওয়ার জন্য বরাত পাওয়া ঠিকাদারি সংস্থার। কিন্তু তারপরেও বিদ্যুৎ চলে গেলে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতাল চত্বর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে। গ্রীষ্মের দাবদাহে তাই বিদ্যুৎ চলে গেলে চরম সমস্যায় পড়ে রোগীরা। রোগীর পরিবার থেকে শুরু করে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানতে পারা যায়, বিদ্যুৎ চলে গেলে হাসপাতাল চত্বর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। স্যালাইন হাতেই হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে আসে রোগীরা, একটু বাতাস পাওয়ার জন্য, এতেই ক্ষোভে ফুঁসছে রোগী ও তাদের পরিজনেরা।
কিন্তু বিদ্যুৎ চলে গেলে কেন হাসপাতাল চত্বর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায়, কেন এমন বেহাল অবস্থা? যদিও এই সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন চন্দ্রকোনা হাসপাতালের বিএমওএইচ স্বপন নীল মিস্ত্রি । তিনি বলেন, তিনি নতুন এসেছেন। কিন্তু এই হাসপাতালে যে একটি নিজস্ব জেনারেটর সেটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে আর সেই জেনারেটর মেরামত করতে লাগবে মোটা অংকের টাকা। এমনকি হাসপাতালে যে ঠিকাদারি সংস্থার জেনারেটরের মাধ্যমে আলো দিতেন সেই ঠিকাদারি সংস্থার বকেয়া প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। সেই টাকা না পেয়ে ঠিকাদারি সংস্থা বন্ধ করে দিয়েছে জেনারেটর চালানো।
কিন্তু বিএমওএইচ -এর দাবি সমস্ত বিষয়টি তিনি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক কে জানিয়েছেন। প্রায় এক বছর ধরে এই সমস্যা দেখা দেওয়ায় কেন কোন উদ্যোগই নেয়া হয়নি স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে উঠছে প্রশ্ন । এখন দেখার এই গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের বেহাল দশার হাল কবে ফিরে দীর্ঘদিন ধরে চলে আশা এই সমস্যার।

মোমবাতিই ভরসা। নিজস্ব চিত্র