কলকাতায় পা রেখে অনুশীলনে নামার জন্য মুখিয়ে পোগবার দাদা

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

রবিবার সকালে কলকাতায় পা রাখলেন বিশ্বকাপজয়ী পল পোগবার দাদা। ফ্লোরেন্তিন পোগবা। রবিবার সকাল থেকেই কলকাতা বিমানবন্দরে মোহনবাগান সমর্থকেরা ভিড় জমিয়েছিল পোগবাকে স্বাগত জানাতে। হাতে মোহনবাগান পতাকা নিয়ে জয় মোহনবাগান আর পোগবাকে নিয়ে ঊচ্ছ্বাসের স্লোগান তোলেন তারা। পোগবা জানালেন,”সমর্থকদের আবেগ দেখে আমি সত্যিই অভিভূত। অনুশীলনে নামার জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি। এই ক্লাবের হয়ে ভালো পারফরমেন্স করা আমার লক্ষ থাকবে।” ইতিমধ্যেই মোহনবাগান মাঠে অনুশীলন করে দিয়েছে এটিকে মোহনবাগান।

এক নজরে ফ্লোরেন্তিনঃ

যখন তাঁর আট মাস বয়স, তখন ফ্লোরেন্তিন পোগবার পরিবার গিনির কোনাক্রি থেকে প্যারিসের এক মফঃস্বল শহরে চলে যায়। তাই ছোট থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানীয় ক্লাবে খেলতেন তিনি। এক সময় স্প্যানিশ ক্লাব সেল্টা ফিগোর কর্তাদের নজরে পড়ে যান এবং ২০০৭-এ, ১৭ বছর বয়সে তাঁকে নেয় সেই ক্লাব। তবে এই ক্লাবের সিনিয়র দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়ার আগেই ২০০৯-এ ফ্রান্সের সেদানে সই করেন পোগবা এবং ২০১১-য় সেই ক্লাবের সিনিয়র দলের হয়ে প্রথম মাঠে নামেন। পরের মরশুমেই লিগ ওয়ানের ক্লাব স্যাঁ এতিয়েন পাঁচ লক্ষ ইউরো ট্রান্সফার ফি দিয়ে তাঁকে নিয়ে আসে।

সোশোতে সই করার আগে পোগবা স্যাঁ এতিয়েনেই খেলতেন। সেখানে ছ’বছর ছিলেন। যার মধ্যে প্রথম মরশুমে তিনি সেদানে খেলেন লোনে। স্যাঁ এতিয়েনের হয়ে উয়েফা ইউরোপা লিগের হয়েও মাঠে নেমেছেন তিনি। ২০১৭-য় সেই টুর্নামেন্টে আবার ম্যান ইউ বনাম স্যাঁ এতিয়েন ম্যাচে ভাই পলের মুখোমুখিও হন এবং সেই ম্যাচে পলের দল ম্যান ইউ ৪-০-য় জেতে।

গত দুই মরশুমে সোশোর হয়ে ৬৫টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। পল ফ্রান্সের জাতীয় দলের হয়ে খেললেও তাঁর দাদা খেলেন গিনির জাতীয় দলের হয়ে। ২০১০ থেকে সে দেশের হয়ে ৩০টি ম্যাচ খেলেছেন আদ্যান্ত আর্সেনাল সমর্থক ফ্লোরেন্তিন। তাঁর যমজ ভাই ম্যাথিয়াসও গিনির হয়েই খেলেন ফরোয়ার্ড হিসেবে।

২০১৮-য় তুরস্কের ক্লাব লিগে খেলতে যান ৬ ফুট চার ইঞ্চির এই ডিফেন্ডার। পরে আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারেও খেলেন আটলান্টা ইউনাইটেডের হয়ে। তাদের ইউএস ওপেন কাপ ও ক্যাম্পিওনেস কাপ জয়ী দলে ছিলেন তিনি। ফ্রান্সের সোশোতে এক বছরের চুক্তি বাকি ছিল তাঁর। সেখান থেকেই দু’বছরের চুক্তিতে সবুজ মেরুন ব্রিগেডে ফ্লোরেন্তিন পোগবা।

এ রকম একজন ফুটবলারকে রাজি করিয়ে ভারতে নিয়ে আসা যে মোটেই সোজা কাজ ছিল না, তা জানাতে দ্বিধা করেননি এটিকে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ জুয়ান ফেরান্দো।