রাজনীতিবিদদের খেলার মাঠে ঢুকতে দেওয়া উচিত নাঃ বাইচুং

স্পোর্টস ডেস্ক, এনএফবিঃ

১৩১তম ডুরান্ড কাপের ফাইনালে রবিবার মুম্বই সিটি এফসিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বেঙ্গালুরু এফসি। প্রথমবার ডুরান্ড জয়ের স্বাদ পান বেঙ্গালুরু দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনায় বেশ ক্ষুব্ধ সমর্থক থেকে শুরু করে প্রাক্তনীরা। এবার এই প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া। সুনীল ছেত্রীকে পশ্চিমবঙ্গের অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের ঠেলে সরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে বাইচুং বলেন যে সুনীলকে অপমান করা হয়েছে। রাজনীতিবিদদের খেলার মাঠে ঢুকতে দেওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমে বাইচুং বলেন, ‘‘এই ঘটনা গোটা দেশের ক্রীড়াজগতকে অপমানিত করেছে। ওই মুহূর্তটা সুনীল ও তার দলের ছিল। কিন্তু ওদেরই বাদ দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হল। কিছু রাজনীতিবিদ ছবি তোলার জন্য ফুটবলারদের সরিয়ে দিচ্ছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। সুনীলকে অপমান করা হয়েছে। রাজনীতিবিদদের খেলার মাঠে ঢুকতেই দেওয়া উচিত নয়। ওটা খেলোয়াড়দের জায়গা।’’

আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রীড়াবিদদের অবহেলা করার ঘটনা কমলেও রাজ্য ও জেলা স্তরে এখনও সেটা ভাল ভাবে আছে বলেই মনে করেন বাইচুং। তিনি আরও বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক স্তরে এই ঘটনা কমেছে। খেলোয়াড়দের সম্মান বেড়েছে। কিন্তু রাজ্য ও জেলা স্তরে ছবিটা এখনও একই রকম আছে। আমরা দেখেছি উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ কবাডি দলকে শৌচাগারের মেঝেতে খাবার দেওয়া হয়েছে। তার পর সুনীলের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে। এগুলো মেনে নেওয়া যায় না। এর বদল দরকার।’’

সুনীলের প্রতি এই ঘটনায় অভিনেতা সাহেব ভট্টাচাৰ্য ছাড়াও প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পাও ক্ষোভ উগড়ে দেন। প্রসঙ্গত বাইচুং গত এএআইএফএফ নির্বাচনে বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের কাছে হেরে যান আর তারপর তিনিও একপ্রকার রাজনীতি হয়েছিল ফেডারেশন নির্বাচনে সেই অভিযোগ সামনে নিয়ে আসেন। এদিকে ফেডারেশন সচিব পদে সাজি প্রভাকরণের নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন বাইচুং ভুটিয়া। যদিও ফেডারেশনের গত কার্যকরী কমিটির বৈঠকের বিষয় তালিকায় রাখা হয়নি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাইচুং। বৈঠক শেষে বাইচুং বলেন, ”সচিব পদের সাজির নিয়োগ পদ্ধতি ভুল তা নিয়ে আমি ফেডারেশনকে মেল করেছিলাম। কিন্তু আজকের মিটিংয়ের অ‍্যাজেন্ডায় বিষয়টা রাখা হয়নি। সচিবের নিয়োগ ভুল বার্তা যাচ্ছ।” সাজিকে নিয়ে বাইচুং আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়ে জানান, উনি এআইএফএফের নির্বাচনে ভোটার ছিলেন। কল্যাণ চৌবের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। তার সঙ্গেই দিল্লি ফুটবলের সভাপতি ছিলেন। তাঁকে বেতনভুক্ত পদে নিয়োগ করা খারাপ উদাহরণ। যদি সাম্মানিক পদে নিয়োগ করা হত তা হলে কিছু বলতাম না। এরপরে কিছু ব্যক্তিকে বেতনভুক্ত পদ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দরদাম করে ভোট চাওয়া হবে।”