জুলাই 5, 2024
Latest:
ক্রীড়া

আইসোলেশনে নিজের হতাশা কাটাতে পন্টিংয়ের পদক্ষেপ

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

দলের খারাপ পরিস্থিতি আর সেই সময়ই কোচ ডাগআউটে অনুপস্থিত। ইচ্ছা থাকলেও দলের প্রয়োজনে ডাগ আউটে বসতে পারেননি রিকি পন্টিং। সেই পাঁচটা দিন যে তাঁর কতটা দুর্বিসহ কেটেছে তাই জানালেন দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ রিকি পন্টিং। ক্রিকেটারদের সামনাসামনি পরামর্শ দিতে না পারা। তাদের ভুল শুধরে দিতে না পারার হতাশা কাটিয়েছেন ঘরে বসে টিভির রিমোট কন্ট্রোলের ওপর। আইসোলেশনে থাকাকালীন তিন থেকে চারটি রিমোট কন্ট্রোল নাকি ভেঙে ফেলেছেন পন্টিং। যদিও তাতে হতাশা দূর কতটা হয়েছে তা জানা যায়নি।

দিল্লি ক্যাপিটালসের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করা ছিল তাঁর প্রধান কাজ। প্রথম দিন থেকেই সেই কাজটা একেবারে যথাযথভাবে করে দেখিয়েছেন পন্টিং। এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের হাত ধরেই এবারের আইপিএলে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছেন কুলদীপ যাদব। কেকেআরে সুযোগ না পেয়ে যে কুলদীপ ক্রমশই নিজের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলছিলেন, সেই কুলদীপ যাদবই এবারের আইপিএলে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন।

আইসোলেশন কাটিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার নিজের হতাশার কথা জানালেন রিকি পন্টিং।

আর সেইসব কিছুর নেপথ্য কারিগড়ই ছিলেন রিকি পন্টিং। কিন্তু দিল্লি শিবিরে এবার করোনার হানা হয়েছে। একের পর এক ক্রিকেটার থেকে সাপোর্ট স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতেই পন্টিংয়ের পরিবারের এক সদস্যও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর তার ফলেই রিকি পন্টিংকেও যেতে হয়েছিল পাঁচদিনের আইসোলেশনে। সেই সময়ই ম্যাচ হারতে হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসকে।

ঋষভ পন্থের খারাপ আচরণের জন্য টাকা কাটা গিয়েছে তাদের। প্রবীন আমরেকে নির্বাসিত করা হয়েছে এক ম্যাচের জন্য। আর এসবই ঘরে বসে শুনতে হয়েছে পন্টিংকে। যে সময় দলের তাঁকে সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন ছিল, করোনার কারণে তিনি থাকতে পারেননি। আর সেই হতাশাই মিটিয়েছেন একের পর এক রিমোট ভেঙে। সামনাসামনি ক্রিকেটারদর যে পরামর্শ দেওয়া যায়, তা কখনোই এসএমএস করে দেওয়া সম্ভব নয়। পন্টিংকে সেই কাজই করতে হয়েছে ক্রমাগত। আর তাতেই বেড়েছিল হতাশা।

আরও পড়ুনঃ ভারতের কোচ হতে গেলে চামড়া মোটা হতে হয়ঃ শাস্ত্রী

আইসোলেশন কাটিয়ে ফের দিল্লি শিবিরে যোগ দিয়েছেন রিকি পন্টিং। সেখানে আসার পরই তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার। রিকি পন্টিং জানিয়েছেন, “ফের ঘরের বাইরে বেরোতে পেরে আমি খুশি। দলের সঙ্গে যেতে না পারায় আমার ক্রমশ হতাশা বেড়েছিল। আর সেজন্য ঘরের ভিতর তিন থেকে চারটে রিমোট কন্ট্রোলও ভেঙে ফেলেছিলাম। কোচ যখন সাইড লাইনে বসে থাকেন তখনও অবশ্য তাঁর হাতে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করার ক্ষমতা থাকে না। কিন্তু সাইড লাইনে না থেকে যখন শুধুই মেসেজ পাঠিয়ে ক্রিকেটারদের নির্দেশ দিতে হয় সেটা আরও বেশী হতাশাজনক”।

অবশেষে আইসোলেশনের সময় কাটিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রিকি পন্টিং। গত ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের হার এখন অতীত। তাদেরকে ফের জয়ের রাস্তায় ফেরাতেই এখন মরিয়া রিকি পন্টিং।