অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
দীর্ঘ প্রায় সাত বছর এটিকে মোহনবাগানে খেলার পর এ বার তিনি চলে যাচ্ছেন নিজের শহর থেকে অনেক দূরে, বেঙ্গালুরুতে। আগামী মরশুমে প্রবীর দাস-কে দেখা যাবে বেঙ্গালুরু এফসি-র জার্সি গায়ে সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে মাঠে নামতে। ভারতীয় ফুটবলের সেরা তারকার সঙ্গে খেলতে নামার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে সোদপুরের প্রবীরের, যাকে ভালবাসেন সারা বাংলার অসংখ্য ফুটবলপ্রেমী।
অগুনতি সমর্থকের কাছ থেকে যেমন সীমাহীন ভালবাসা পেয়েছেন, তেমনই কলকাতার দলের সতীর্থদের কাছ থেকেও পেয়েছেন প্রচুর স্নেহ ও সম্মান। এ সব ছেড়ে ভিনরাজ্যে যেতে খারাপ লাগলেও বেঙ্গালুরুতে তার জাতীয় দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে মাঠে নামতে পারবেন এটাই মোটিভেশন প্রবীরের।
এদিন তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানালেন,”এএফসি কাপের প্লে অফের দ্বিতীয় রাউন্ডের আগেই জানতে পারি যে, আমাকে হয়তো কলকাতা ছেড়ে যেতে হবে। এত দিন নিজের শহরে থাকার পরে যা হয়, এত বছর ধরে এখানে খেলে একটা আবেগের সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে এই শহরের ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গে। খারাপ লাগছিল ঠিকই, তবে মেনেও নিতে হয়েছে। পেশাদারিত্বের নিয়মে একটা না একটা সময়ে হয়তো এই শহর ছেড়ে যেতেই হত। আসলে তখনই আবার নিজেকে ফিরে পেতে শুরু করেছিলাম। তাই এখানে থাকলে হয়তো ছন্দটা ধরে রাখতে পারতাম, নিজেকে আরও উন্নত করে তুলতে পারতাম। পরে শুনলাম, বেঙ্গালুরু এফসি আমার ব্যাপারে খুব আগ্রহ দেখিয়েছে। একজন খেলোয়াড়ের কাছে দিনের শেষে শ্রদ্ধা ও সম্মান পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ দিক থেকে দেখলে ভাল লেগেছে। খারাপ লাগছে পরিবারকে ছেড়ে দূরে থাকতে হবে। তবে পেশাদার হতে গেলে এটা মেনে নিতেই হবে। বেঙ্গালুরু এফসি-তে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি খুশি। এখন ওদের জার্সি গায়ে মাঠে নেমে ভাল পারফরম্যান্স দেখানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছি।”এরপরে প্রবীর জানান,”আমার একটা স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। ছোটবেলা থেকে আমার ইচ্ছা ও স্বপ্ন যে, সুনীল ভাইয়ের সঙ্গে একই দলের হয়ে মাঠে নামব। উনি একজন কিংবদন্তি। ওর মতো একজন ফুটবলারের সঙ্গে মাঠে নামতে পারলে আমার বহুদিনের স্বপ্নপূরণ হবে। অনেক কিছু শেখার আছে সুনীল ভাইয়ের কাছ থেকে। ওর মতো দীর্ঘদিন কী ভাবে ফুটবলে সাফল্যের সঙ্গে খেলে যাওয়া যায়, ওর কাছ থেকে তা জানার খুব ইচ্ছা আমার। এতদিন দীর্ঘক্ষণ বসে ওর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাইনি, কিন্তু এ বার সেই সুযোগ যখন পেয়েছি, তখন সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চাই। প্রতিদিনই সুনীল ভাই, গুরপ্রীত ভাইদের কাছ থেকে কিছু না কিছু শিখতে হবে আমাকে। ওদের সঙ্গে অনুশীলনে কবে প্রথম দেখা হবে, তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি।”