জুলাই 3, 2024
Latest:
জেলা

বাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি

এনএফবি, কোচবিহারঃ

পুরসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে কোচবিহার শহরের তোর্সা নদীর চরে বাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেন শিলিগুড়ি পুর নিগমের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গৌতম দেব। আজ সকালে তিনি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থী অভিজিৎ দে ভৌমিককে (হিপ্পি) সাথে নিয়ে কোচবিহার শহরের তোর্সা নদীর চর এলাকায় প্রচারে যান। সেখানেই তিনি বাঁধ না থাকায় প্রত্যেক বছর বর্ষায় সেখানকার বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগের কথা জানতে পারেন।

এরপরেই তিনি বলেন, “এর আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী থাকার সময় একটা অংশের বাঁধ আমি করে দিয়েছিলাম। তারপরে বাকি অংশের কাজ কেন এতদিনেও হয়নি আমি জানি না। আমি এবার শিলিগুড়িতে ফিরে গিয়ে সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে বসবো। কোচবিহার সেচ দফতরের আধিকারিককে দিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করে এখনই এর জন্য আর্থিক বরাদ্দ দিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।”

কোচবিহার শহরের ১৬ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু অংশ তোর্সা নদীর বাঁধের ওপারে। প্রত্যেক বছর বর্ষায় নদী লাগোয়া ওই বাড়ি গুলোতে জল ওঠে। নদী ভাঙনের কবলেও পরতে হয় তাঁদের। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী বাসিন্দারা বাঁধের ওপরে এসে আশ্রয় নিয়ে থাকেন। মূলত আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ওই বাসিন্দাদের দুর্ভোগের সময় খাবার, ত্রিপল দিয়ে কিছুটা সহযোগিতা করা হলেও তাঁদের স্থায়ী ভাবে ওই সমস্যা সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ। প্রত্যেক বার নির্বাচনের সময় ওই সমস্যা নিয়ে সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি। ফলে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়ে রয়েছে। যা এবার পুরসভা নির্বাচনে অন্যতম ইস্যু।

বাঁধের পাড় এলাকা ছাড়াও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক জায়গায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার এবং সভাও করেছেন গৌতম দেব। ওই ওয়ার্ড থেকে দীর্ঘদিন কাউন্সিলর হয়ে আসছেন তপন ঘোষ। এর আগের নির্বাচনে তিনি বামেদের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাকেই এবারও ওই ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করার কথা ছিল তৃণমূলের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তপন ঘোষের বদলে শহর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিককে ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়। এরপরেই তপন বাবু নির্দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে ওই ওয়ার্ডে বর্তমান শাসক দল ও তাঁদের নির্দলের প্রার্থী লড়াই শহরে অন্যতম চর্চার বিষয় হয়ে রয়েছে। সেই কারণেই শাসক দল সেখানে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।