জুলাই 5, 2024
Latest:
জেলা

অলচিকি মাধ্যমে উচ্চ বিদ্যালয় চালুর দাবিতে বিক্ষোভ

এনএফবি,ঝাড়গ্রামঃ

অলচিকি মাধ্যমে পঠন-পাঠন শুরু করে ভবিষ্যৎ অন্ধকারের মুখে অলচিকি মাধ্যমের ছাত্র-ছাত্রীদের। অবিলম্বে অলচিকি মাধ্যমে উচ্চ বিদ্যালয় চালু করার দাবিতে প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকদের স্কুলের মধ্যে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করলো অলচিকি মাধ্যমে পড়া ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকরা। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের শাবলমারা গ্রামের শাবলমারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। জানা গিয়েছে, শাবলমারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি অলচিকি মাধ্যমেও পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলা মাধ্যমে যে সকল ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশোনা করছিল তারা পঞ্চম শ্রেণী পাশ করার পর হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে যায়। কিন্তু যে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা অলচিকি মাধ্যমে পঠন-পাঠন করছিল তারা পঞ্চম শ্রেণী উত্তীর্ণ হওয়ার পর বিদ্যালয় না থাকার কারণে কোথাও ভর্তি হতে পারেনি।
ডিপিএসসির চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে জেলাশাসক সকলের কাছেই অলচিকি মাধ্যমের উচ্চ বিদ্যালয় তৈরি করার জন্য আবেদন জানিয়ে বহুবার দরখাস্ত জানিয়েছেন অভিভাবকেরা। তাদের দাবি, শাবলমারাই শাবলমারা প্রাইমারি স্কুলের পাশেই শাবলমারা জুনিয়র হাই স্কুল তৈরি করার কথা ছিল। কিন্তু তা আজও হয়ে উঠেনি। পঞ্চম শ্রেণী পাশ করার পর তাদের ছেলেমেয়েরা বাড়িতেই বসে রয়েছে। প্রধান শিক্ষককে স্কুলের মধ্যে সকাল থেকেই তালাবন্ধ করে আটকে রেখেছে উত্তেজিত অভিভাবকরা। এদিনের ঘটনার জেরে স্কুলের পঠন পাঠন ব্যাহত হয়। পূজা সরেন নামে এক অভিভাবক বলেন, “আমাদের সন্তানরা পঞ্চম শ্রেণী পাশ করার পরে আর ষষ্ঠ শ্রেণীতে কোথাও ভর্তি হতে পারছে না। সাঁওতালি মাধ্যমে পঠন-পাঠনের কোন ব্যবস্থা নেই। উচ্চ বিদ্যালয় চেয়ে এসআই অফিস, ডিএম অফিসে লিখিত আবেদন বহুবার জানানো হয়েছে। তারা আশ্বাস দিলেও কাজ কোন হয়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়েই স্কুলে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করেছি। সমস্যার সমাধান না হলে রাস্তা অবরোধ ও করব।”

নিজস্ব চিত্র

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুশীল কুমার গিরি বলেন, “স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত অলচিকি মাধ্যমে পঠন পাঠনের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে পঞ্চম শ্রেণীতে পাশ করার পর তারা কোথাও ভর্তি হতে পারেনি বলে আমি জানি। তাই অলচিকি মাধ্যমে নতুন উচ্চ বিদ্যালয় চেয়ে প্রাইমারি স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে অভিভাবকরা। আমার হাতে কিছু নেই যা করার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই করবে।”