এনএফবি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের তপন বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনস্থ ৪নং বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের ধরমপুর সংলগ্ন রহতুল থেকে কয়রাকল শ্মশান অবধি প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা ১০ বছরেরও বেশী সময় ধরে খারাপ হয়ে আছে । উল্লেখ্য যে ধরমপুর সংলগ্ন খোরকাডাঙ, কয়রাকল, রহতুল, রাজুয়া, বড়মপুর, ভাটরা গ্রামের প্রায় ২০-২৫ হাজার মানুষের পথ চলাচলের অন্যতম প্রধান রাস্তা হল এই রাস্তাটি।
গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গিয়েছে প্রায় ১২ বছর পূর্বে এই রাস্তাটি দিয়ে কোনভাবে পথ চলার জন্য প্রাশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তায় ফেলা হয়েছিল ইট, সেই শেষ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ তারপর থেকে গ্রামে আজও নির্মাণ হয়নি রাস্তা। যার ফলে বর্তমানে ঐ রাস্তাটিতে পথ চলাচল কার্যত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে গ্রামবাসীদের পক্ষে। রাস্তা নির্মাণ না হওয়ায় বর্তমানে মাটির রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গা যেমন খানা খন্দে পরিণত হয়েছে তেমনি বর্ষা নামলেই রাস্তায় জমে প্রায় হাটু সমান কাদা। ফলে এই রাস্তা দিয়ে বর্ষাকালে গাড়ি চলাচল তো দূর অন্ত সাইকেল নিয়ে যাতায়াতেও নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। গ্রামবাসীদের এও বক্তব্য বর্ষা আসলেই রাস্তাটির কিছুটা অংশে রাস্তার উপরে জমা জলে চলে নাকি ভেলা নৌকা-ও। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ৫ বছরেরও বেশী সময় ধরে রাস্তা নির্মাণের আর্জি স্থানীয় পঞ্চায়েতে – জেলা পরিষদে- বিডিও অফিসে জানিয়েও রাস্তা নির্মাণ না হওয়ায় রাস্তা নির্মাণে বর্তমানে তারা মুখ্যমন্ত্রীর মুখ চেয়ে রয়েছেন।
রহতুল গ্রামের বাসিন্দা জোৎস্না বর্মন বলেন জরুরী প্রয়োজনে এই রাস্তা দিয়ে রুগীকেও নিয়ে যাওয়া যায় না। গ্রামবাসীদের মধ্যে অন্যতম সীতেশ বর্মন বলেন, বর্ষাকালে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চোখের জল ফেলতে হয়, বর্ষাকালে রাস্তার উপরে জমা জলে কোন কোন সময়ে চলে ভেলা, নৌকা। শচীন বর্মন বলেন পঞ্চায়েতে, জেলা পরিষদ, বিডিও অফিসে আবেদন জানিয়েও রাস্তা নির্মাণ হয়নি, আমরা রাস্তাটি নির্মাণের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
অপরদিকে গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা কিসকু বলেন ধরমপুরের দিকে রাস্তাটিকে বিভিন্ন স্কিমে তুলে ধরা হয়েছে, ধরমপুরের এস.এস.কে স্কুল থেকে কয়রাকল অবধি রাস্তার প্ল্যান পাস হয়ে গেছে। তিনি বলেন ফান্ডের জন্য রাস্তাটা হচ্ছে না, ফান্ড চলে আসলে অবশ্যই রাস্তাটা হবে৷